কতজন মরলো। চল্লিশ, পঞ্চাশ নাকি আরও বেশি। প্রতিদিনই তো মরছে। সড়ক দূর্ঘটনায় মরছে, আগুনে পুড়ে মরছে, লাঠির আঘাতে মরছে, ক্ষুধার যন্ত্রণায় মরছে, চিকিৎসার অভাবে মরছে। এইদেশে জন্মালে অপঘাতে মরে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই মানুষ মরে যাচ্ছে। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী অনেকেই আমাকে লেখালেখি করতে নিরুৎসাহিত করেন। কেননা নিজের পরিচয়ে মত প্রকাশ করাটাও এদেশে অস্বাভাবিক মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসতে পারে। ইহা প্রমানিত। তবে দূর্ঘটনায় মৃত্যুর চেয়ে, একটা ভালো কাজ করতে গিয়ে মরে যাওয়াটা আমার কাছে উত্তম মনে হয়। নিজেকে সবাই ভালোবাসে। এই সুন্দর পৃথিবীর নির্মল আলো-বাতাসে বেঁচে থাকার সুতীব্র আকাঙ্খা আমারও রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের আলো-বাতাস কি নির্মল আছে? প্রতিদিন অপঘাতে মৃত্যুর পোড়া গন্ধে ভারী হয়ে উঠছে এই দেশটা। এই দূষিত বাতাস আর প্রিয়জনের আর্তনাদের মাঝে বেঁচে থাকাটাই আরেক দূর্বিষহ যন্ত্রণা। তারথেকে নাহয় কিছু প্রতিবাদ করে মরে যাই। যেই অন্ধ মানুষেরা সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে কিন্তু নিজের অজান্তে একটা দূর্বিষহ পৃথিবী গড়ে তুলতে সাহয্য করছে তাদের নাহয় কিছু বোধের জাগরণ হোক। আমাদের ভয় দেখিয়ে নিশ্চুপ রাখতে পারলেই কিছু মানুষের সুবিধা। এই সুবিধাবাদীরা এতটাই শক্তিশালী যে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সেতো সুদূর কল্পনা,কথা বলাটাও বন্ধ করে দিতে হবে। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। তারজন্য যেটুকু সাহসের দরকার সেটা আমার নেই। তবু কিছু সাহস অর্জন করার চেষ্টা করছি।

Comments

Popular posts from this blog

করোনা নিয়ে শিশুদের সাথে আলোচনা