Posts

Showing posts from November, 2022

এসএসসির রেজাল্ট

এসএসসির রেজাল্ট দিয়েছে। সোস্যালের গোয়ালে যথারীতি বেশিরভাগই হাস্যরস আর আনন্দের প্রকাশ দেখতে পাচ্ছি । ত্রয়োদশীয় বালিকা থেকে শুরু করে আমার বয়সী বুড়োরা- কেউই মোটামুটি ছাড় দিচ্ছে না। কিন্তু আনন্দ বাদ দিয়ে যদি আমার মতো বুড়োর কাছেও এরা কেউ পরামর্শ চাইতে আসে তখন অন্তরাত্মা শুকিয়ে যাবে। কারন কি পরামর্শ দেবো এই প্রজন্মকে। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। মানে আগাগোড়া সাইন্স। ছোটবেলায় বিজ্ঞান বইতে পড়েছি পৃথিবী গোল। কিন্ত বলা হলো চিরন্তন সত্য হলো পৃথিবী সমতল। আবার একটু বড় হয়ে পড়লাম মানুষ অর্থাৎ হোমো সেপিয়েন্স প্রজাতি এসেছে আফ্রিকার নিয়ান্ডারথাল থেকে বিবর্তিত হয়ে। তখন সেটা মানতে পারিনি। তাই এখনও মানতে কষ্ট হয় যে মোবাইল,কম্পিউটার, ইন্টারনেট এগুলো বিজ্ঞান দিয়েছে। আবার চিকিৎসা,শিক্ষা,যোগাযোগ সবক্ষেত্রেই বিজ্ঞান অনেককিছু দিয়েছে; জানি। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা মানি না। তাইতো বলি এই ছাইন্স না বুঝাইলেও পারতেন মিয়ারা। সাইন্স নিতে বললে ওদেরকেও এই ছাইন্সই বুঝানো হবে নিশ্চিত। মানবিক আর ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রেও মোটামুটি সেইম। আটবছর ডেবিট-ক্রেটিডের হিসেব মেলানোর পর তাকে বলা হবে জীবনের হিসেব ডাটায় মিলবে না, সে হিসাব আগে

আবেগ এবং যুক্তি

Image
  আমার মস্তিষ্কের আবেগ এবং যুক্তি আমি অনেকের মাঝেই ঢেলে দেই। ব্যক্তিগত কিংবা সামজিকভাবে।আবেগ এখানেই বেশি ঢালি আমার ভাবনাগুলো আ্যবস্যুলেট কিংবা চিরসত্য টাইপ কিছু নয়। আমার এখনকার ভাবনাগুলো দুদিন পর অন্যরকম হওয়া স্বাভাবিক। কেননা আমি কিছুই বিশ্বাস করি না। এমনকি নিজের কোনো ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারলেই আমি সর্বোচ্চ অর্গাজম পাই কেননা আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। তখনই আমার চিন্তাটা প্রশ্নবিদ্ব হয় যখন সেটা সম্পর্কে আমি নতুন কিছু জানি। আর এই জানাটাই আমাকে আনন্দ দেয়। যদিও নতুন কিছু জানার সুযোগ আমার খুবই সীমিত। আমার মাঝে আবেগ এবং যুক্তি একইসাথে চলে। যুক্তিকে আমি বিজ্ঞান দিয়ে ছাঁকন করি আর আবেগকে ইচ্ছেমত চলতে দেই। যুক্তি যখন আবেগকে পিস্ট করে তখন অস্থির হয়ে পরি। আবার আবেগ যখন যুক্তিকে ঢেকে দেয় তখন অসহায় হয়ে পরি। আমার মস্তিষ্কের মাঝে চলা এইসব দ্বন্দ্ব আমায় একসময় বিস্মিত করে ফেলতো। চেতন-অবচেতনের লড়াই দেখে অবাক বিস্ময়ে থম মেরে যেতাম। এখন আমি আর এসব নিয়ে ততটা বিস্মিত হই না। আমি কিছুটা হলেও বুঝতে শিখেছি এর বেশিরভাগই কিছু নিউরোকেমিক্যাল সিগনালের খেলা, কিছু হরমোনের ক্রিয়াকলাপ আর আমার ডিএনএ-র মধ্যে বহন করা কি

"জানা ভালো কিন্তু বেশি জানা ভালো নয়।"

Image
"জানা ভালো কিন্তু বেশি জানা ভালো নয়।" এই উপদেশটা আমি জীবনে বহুবার শুনেছি। আমি তাদেরকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি আমি কিছুই জানি না। স্রেফ জানি না। বেশি জানার প্রশ্ন সেতো অনেকদূর। তবে আমি অনেক বেশি জানতে চাই। যতদিন বেঁচে আছি জানতে চাই। এই যেমন গতকাল নাসা সত্তর বছর পরে চাঁদের উদ্দেশ্যে মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপন সফল করেছে। অনেকগুলো ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর একটি সফল অভিযান। বলা হচ্ছে আগামীতে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর পরীক্ষামূলক অভিযান এই মিশন। এইবার মানুষ পাঠানো হয়নি,আগামী অভিযানে মানুষ যাবে চাঁদে। এরকম কয়েকটা পরীক্ষামূলক মিশন শেষ করে মানুষ মঙ্গলে যাবে। কি অবিশ্বাস্য আমার মহাকাশ, স্পেস সাইন্স নিয়ে জ্ঞান খুবই সীমিত। আমি আরও জানতে চাই। এরকম অনেককিছুই আছে যা আমি এখন জানতে চাই, কিন্তু একটা সময় চাইতাম না। আমাকে কেউ ছোটবেলায় প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করেনি। আমি নিজে থেকে জানার চেষ্টা করেছি অনেককিছু। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সবজায়গায় মেনে নেয়ার শিক্ষা দেয়। প্রশ্ন করার শিক্ষা দেয় ই না, উপরন্তু প্রশ্ন করাকে নিরুৎসাহিত করা হয়। আমাদের এতো গভীরে এই নিরুৎসাহিতভাব ঢুকে গেছে সেটা ক্যান্সারে

তোমাকে অনুভব করছি

তোমাকে অনুভব করছি। ভীষণরকমভাবে তোমার উপস্থিতি- মস্তিষ্কে,গ্রীবায়,হৃদপিণ্ডে,অন্ডকোষে। অস্থিরতায় শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে হয়। তোমার স্বপ্নগুলোকে,তোমার আবেগকে,তোমার ছেলেমানুষীকে। অবচেতন হতোদ্যম হয়। নিজেকে খুঁজতে গিয়ে তোমার উপর থেকে নামতে উদ্যত হয়। পালাতে চায়,মুখ লুকায়। মস্তিষ্কের কোষগুলো ছটফট করে মরে যায়। নিউরনের বিপরীতক্রিয়ায় নিজেকেই নিজের কাছে অসহ্য মনে হয়। তাইতো পৃথিবীর প্রেমিকারা পাগল কয়। ভীরু কয়। গা-বাঁচানো প্রেমিক কয়। মরা মানুষ কয়। এভাবেই বেঁচে আছি । মৃত কোষগুলোতে সঞ্জীবনী শক্তি পাওয়ার অপেক্ষায়। জীবন্ত উচ্ছ্বাসে কেউ জাগিয়ে তুলুক আমায়। শুধুমাত্র সেই অপেক্ষায়। একটুখানি জীবন্ত অনুভূতি পাওয়ার আশায়।
Image
  সাফায়েত সানি July 26, 2016    ·  Shared with Public নিম্নবিত্তরা উদ্ধায়ী,হূট করে ধনী হইয়া যাইতে পারে।ধনীরা কঠিন মৌল তাপে তরল হইয়া যায় আর মধ্যবিত্তরা নিস্ক্রিয় মৌল......কিছুই হইতে পারে না.........
Image
  সাফায়েত সানি May 3, 2016    ·  Shared with Public ভালবাসা একটা উভমুখী বিক্রিয়া....যখন বিক্রিয়ক আর উৎপাদ কমবেশি থাকে তখন বোঝা যায়.... একটা সময় দুজনে্র ভালবাসাই সমান হয়ে যায়... সাম্য্াবস্থায় গেলে আপাতদৃষ্টিত গতি শূন্য মনে হয়। তখনই বিক্রিয়ার গতিবেগ সবচেয়ে বেশি হয়। যাদের অবচেতন মন বুঝতে পারে তাদেরটাই টিকে রয় আর যারা ধরতে পারে না তারা মোর মত সারাক্ষণ ভালবাসা কারে কয় তাই শুধু খুঁজে বেড়ায়।
একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী যখন কারও বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে আমরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করি,অভিযোগের তীর তার দিকেই ছুঁড়ে দেই। কেননা তিনি আমাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করেছিলেন। এরকম অন্তত হাজারটা উদাহরন আমি দিতে পারবো যেখানে অভিযোগকারী মেয়েটাকেই দায়ী করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য সংসদে দাড়িয়ে আর্জি জানানো হয়। কেননা তিনি বড় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য। টকশোতে ধর্ষনের জন্য সরাসরি দায়ী করা হয় নারীর পোশাককে। কারন আমাদের ধর্মানুভুতি। তাহলে আমরা যে প্রতিমুহূর্তে অন্যদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করে চলেছি তার কি হবে। আমরা গরুর মাংস খাচ্ছি যা হিন্দুদের আঘাত করছে,আমরা ওয়াইনকে হারাম বলছি যা খ্রিস্টানকে আঘাত করছে,আমরা মূর্তি পূজাকে পাপ বলছি যা বৌদ্ধদের আহত করছে।
ইন্ডিয়ায় পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সোচ্চার হয়েছে দেখে ভালোই লাগলো। প্রতিটি মানুষের তার নিজের পছন্দ বেছে নেবার সুযোগ থাকা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশের কোন মেয়ে যদি টপস পরে কোন হুজুরদের আল্লাহু আকবর ধ্বনির মধ্যে দাড়িয়ে বলে জয় শ্রীরাম সেটা কয়জন বাঙালি মুসলমান মেনে নিতে পারবে। একমাত্র যারা সেক্যুলার তারাই মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা মেনে নিতে পারে। আপনি যতই গালি দেন না কেন এরাই একমাত্র সহনশীল মানুষ। এটা ঠিক অনেক বছর লালন করা বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসার পর ভুল-ভ্রান্তির হিসেব করাটা একটু কঠিন হয়ে দাড়ায়। তবে নৈতিকতার প্রশ্নে আমরা অনেক বেশি সিরিয়াস। হয়তো অনেক ক্ষেত্রে অনেকে সঠিক জ্ঞানের অভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তবে ভুল বুঝতে পারলে আবার সেটা স্বীকার করতে দেরি করে না।

গোলমেলে জীবন

নিজেকে ইদানীং খুব গোলমেলে মনে হয়। ইদানীং বই পড়তেও ভালো লাগে না। আর যা কিছু করছি তাও খুব বোরিং লাগে। কারন খুঁজতে গেলে হয়তো অনেক কারন খুঁজে পাওয়া যাবে। গতবছর এপ্রিলে মাকে হারিয়েছি। জুনে ভাইকে। একাকী নিঃসঙ্গ সময়টায় বার বার মনে হয়েছে একজন কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা যাদের রয়েছে তারাতো তবু তাকে দায়ী করতে পারে, আমার তো সেটাও নেই। তবে এসব আবেগী চিন্তা খুব বেশি সময় থাকে না। আমি জানি আমার এই অবস্থার দায় এই সমাজটার। তাইতো ইচ্ছে হয় সর্বশক্তি দিয়ে এই সমাজটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করি। কিন্তু বাস্তবতা সেটা করতে দেয় না। এই সমাজের বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু বলে এখানে টিকে থাকাটা কষ্টকর। আর জীবনের ভয় সেতো আছেই। তাই হয়তো গোলমেলে মস্তিষ্কটা সুস্পষ্ট কিছু করতে পারে না। লেখাগুলো পড়লে মনে হয় সেগুলো যেন আরো গোলমেলে। দিনশেষে তাই বলি চলুক না এই গোলমেলে জীবন, এতেই নাহয় খুঁজে ফিরি সুখের আনন্দ।

ফাল্গুন,ভ্যালেন্টাইন,বৈশাখ উদযাপন

  প্রেমিক হিসেবে কখনও ফাল্গুন,ভ্যালেন্টাইন,বৈশাখ উদযাপন করা হয়ে উঠেনি। যদিও টানা চার বছর প্রেম করেছি। তবুও হয়ে উঠেনি। এর কারন দুটো। প্রথমত অর্থনৈতিক আর দ্বিতীয়ত প্রেমিকার অনীহা। আসলে যেটা করেছি সেটা একধরনের একতরফা প্রেমই হয়তো বলা চলে। যদিও কখনও এমন হয়নি ওর ভালোবাসায় ঘাটতি ছিলো মনে হয়েছে । কিন্তু বাঙালি মেয়েরা যেমনটা হয়। মফস্বল শহরে সামান্য দেখা করতে গেলেও আতংকিত হয়ে পরতো। তাই এইসব দিবসে একান্ত ঘনিষ্ঠ সময় কাটানোর সুযোগ কখনোই হয়ে উঠেনি। তবে আমার ব্যর্থতাও ছিলো। ওই সময়টায় অর্থনৈতিকভাবে প্রচন্ড লড়াই করতে হয়েছে। তাই দেখা-সাক্ষাৎ খুব কমই হতো। যদিও একই শহরে নিবাস ছিলো দুজনের। এইসব দিবস আসলে দুজনেই দেখা করাটা এড়িয়ে চলতাম। আমার ছিলো অর্থনৈতিক সমস্যা আর ওর ব্যপারটা আজ নয় বছর পরেও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। প্রেমটা ভেঙে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় প্রেম করার ইচ্ছে থাকলেও উপায় হয়নি। কেননা নতুন করে সম্পর্কে জড়ানোর জন্য যে মানসিক স্টাবিলিটি দরকার ছিলো সেটা আর ছিলো না।পারিবারিক সমস্যা, অর্থনৈতিক তথৈবচ অবস্থা আর ক্যারিয়ার নিয়ে এতটাই হতাশ ছিলাম আর হয়েই উঠেনি। তাই এইসব বিশেষ দিনগুলোর প্রতি একধরনের অনীহা তৈরি হয়ে গে
আমার মা নেই। নেই মানে নেই। তার আর কোন অস্তিত্ব নেই। অস্তিত্ব আছে শুধু আমার কল্পনায়। অনন্ত জীবনের কথা আমাদের ক্রিয়েচারে লেখা আছে। সেই অনন্ত জীবন কেমন হবে সেটা মানুষ জানে। কি হাস্যকর কথাবার্তা। মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি ছায়াপথের মাঝারি মানের একটা নক্ষত্রের একটি গ্রহ পৃথিবী। তার একটি ক্ষুদ্র প্রজাতি মানুষ। তারা আরও শত শত বছর আগে জেনে গেছে অনন্ত জীবনের সন্ধান। কি অদ্ভুত। কি রোমাঞ্চকর। কতটা ব্রিলিয়ান্ট ছিলেন সেই মহামানবেরা। তাদের জীবনব্যবস্থা আমাদের জন্য অনুকরণীয়। যতদিন এই মানব প্রজাতি টিকে থাকবে আমাদের তাদেরকে অনুকরন করে যেতে হবে। না করলে অনন্তকাল নরকে পুড়তে হবে। কি ভয়ানক।
অবচেতন বড্ড স্পষ্ট,আবার খুব অস্পষ্ট। কখনও লজিক্যাল,কখনও ইমোশনাল। কখনও মানুষ,কখনও অমানুষ। কখনও হাসে,পরক্ষণেই কাঁদে। কখনও ভাবুক,কখনও উজবুক। কখনও নৈতিকতার পরাকাষ্ঠা, কখনও নীতিহীনের পরম স্রষ্টা। কখনও শৃঙ্খল, কখনও উশৃঙ্খল। অশান্ত এই মস্তিষ্ক বড়ই উত্তাল। তাইতো বুঝিনা অবচেতনের হইবে কোন বা*।
আমাদের সমাজে ভয়াবহ ধরনের যৌন বিকৃতি বিদ্যমান। যৌনতাকে যেহেতু আমরা অস্বাভাবিক জেনে বড় হই ;তাই আমাদের অধিকাংশের যৌনতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই। যৌন আকাঙ্খা নারী-পুরুষ নির্বিশেষ সবার রয়েছে। কিন্তু পুরুষ যৌনতাকে প্রকাশ করতে যতটা প্রাঞ্জল, নারী ততটাই বিমুখ। অনলাইন এসে পুরুষের সেই প্রান্জলতা সীমা অতিক্রম করে হয়রানির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আর নারীর যৌন বিমুখতা সেই হয়রানিকে ভয়বহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভয়াবহতার কথা মোটেই অস্বীকার করছি না। সোস্যাল মিডিয়ায় অনেক নারীর অনেকরকম নারীবাদী পোস্ট দেখি। অনেককে মাঝে মাঝে ইনবক্সে গুঁতা দেই,অনেককে কমেন্টবক্সে ঠেলা দেই। এর পিছনে অনেক রকম কারন রয়েছে। সেই ব্যাখ্যা আপাতত তুলে রাখছি। আমরা পুরুষেরা ভালো নই। নারী দেখলেই ঝাঁপিয়ে পরি। ইহা কমন ডায়ালগ। কিন্তু নারীদের কি হাল। অধিকাংশ মেয়েরাই নিজেকে আলাদা মনে করে। আলাদা মানে সে নিজেকে ঠিক মানুষ ভাবতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। সে নিজেকে একজন রমনী ভাবতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। হয়তো অনেকেই মুখে সমানাধিকারের কথা বলে,পুরুষতান্ত্রিকতাকে গাইল পারে। কিন্তু মানসিকভাবে সে নারীস্বত্বা থেকে বের হতে পারে না। একজন পুর
Image
মানুষ তার দুঃখের গল্পগুলো শোনাতে চায়। সবাইকে নয়। নিশ্চয়ই অল্পকিছু মানুষকে। তাদের আকৃষ্ট করতে চায় নিজের দিকে। হয়তো এই গল্প শুনিয়ে সে কিছুটা ভারমুক্ত হতে চায়। হয়তোবা কিছুটা সিমপ্যাথি পেতে চায়। হয়তোবা কিছুটা ভালোবাসা পেতে চায়। আবার এমনও হতে পারে সে তার অতৃপ্ত কামনাকে তৃপ্ত করতে চায়। একটা ছেলে একজন অপরিচিত মেয়ের কাছে তার দুঃখের গল্পগুলো যতটা আগ্রহ নিয়ে শোনায়, একজন ছেলের কাছে কি ততটা আগ্রহ নিয়ে শোনায়   কিংবা একজন মেয়ে তার প্রাক্তন প্রেমিকের কথা একজন ছেলের কাছে যতটা আবেগ নিয়ে বলে ততটা কি একজন মেয়ের কাছে বলতে পারে পারে না। আমরা দুঃখের গল্প বলার সঙ্গী খুঁজে ফিরি। সেই সঙ্গীর সাথে শুধু গল্প করতে চাই এমনটা নয়। সেই সঙ্গীর সাথে আমরা সঙ্গমেও লিপ্ত হতে চাই। এরমধ্যে কোন অস্বাভাবিকতা নেই। এটাই স্বাভাবিক। এখন এই বন্ধুত্বকে আমরা প্রেম বলবো নাকি অন্যনামে সজ্ঞায়িত করবো সেটা আমার জানা নেই। তবে দুজনের কমিটমেন্ট যদি স্পষ্ট থাকে তবে আমি এরমাঝে কোন অপরাধ দেখি না।
Image
বুঝতে শেখার পর থেকেই নিজের অস্তিত্ব খুঁজে ফিরেছি সবসময়। আমাদের মস্তিষ্ক কেন অপরাধ করতে উৎসাহী হয়ে উঠে সেই প্রশ্ন আমার ঘুম কেড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। একটা ধর্মহীন সমাজ তৈরি হলে হয়তো সমস্যাগুলোর সমাধান সহজে করা যাবে। কিন্তু ধর্মহীন অশিক্ষিত একটা সমাজ তৈরি করলে কি সমস্যার সমাধান আদৌও করা সম্ভব হবে। হবে না। কেননা আমি যদি ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য না বুঝি তাহলে আমার অপরাধপ্রবণতা থেকে মুক্তির উপায় কি সমাজটা মনে হয় এইদিকেই অগ্রসর হচ্ছে।অনেকেই ধর্মের জাল ছিড়ে বের হয়ে যাচ্ছে। ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ব ঘোষনা করছে। কিন্তু ভালো-মন্দের পার্থক্য বুঝতে পারছে না। জীবনের উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে। ধর্মহীন সমাজের থেকে একটা সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলাটাই উত্তম বলে মনে হয়।
বর্ষনমুখর এই রাতে একটা অতৃপ্ত আত্মা নিয়ে সে বসে আছে। সেই আত্মার নিভৃত ক্রন্দন প্রকাশ করার ভাষা জানা নেই। শেখানো হয়নি কিভাবে প্রকাশ করতে হয় সেই আকাঙ্খা। তাইতো সে শত উপমা দিয়ে ভালোবাসার মানুষ খোঁজে। তবু তার দেখা মেলে না। কেননা তার জানা নেই ভালোবাসার স্বরুপ কেমন।
ইহা সত্য মনের মিলন না হলে শরীরের মিলন সম্ভব নয়। কিন্তু মন জিনিসটাকে আমরা এতোটাই গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছি যে শরীরটার যেন কোন মূল্যই নেই। মন বলতে আমরা সহজভাবে মস্তিষ্কের নানারকমের ক্রিয়া-কর্মকেই বুঝি। আর মস্তিষ্কের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া শরীরের চাহিদা দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। তাই শরীরকে বাদ দিয়ে যদি শুধু মনকেই চাই সেটা হবে অলৌকিক কল্পনা। আমরা এভাবেই ভালোবাসা চেয়ে এসেছি। ভালোবাসাকে মহিমান্বিত করতে গিয়ে কবি সাহিত্যকরা শরীরটাকে যেন আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। অনেকের মধ্যেই দেখি শরীরটাকে কোন গুরুত্বই দিতে চান না। কিন্তু শরীর ছাড়া মন নামক বস্তুটার আদৌও কোন অস্তিত্ব নেই। তাই শরীরের চাহিদার সাথে ভালোবাসার একটা নিগূঢ় সম্পর্ক রয়েছে। শত শত বছর যৌনতাকে অশ্লীল আর গোপনীয় ভাবতে ভাবতে আমরা নিজের অজান্তেই হয়তো বুঝতে পারি না ভালোবাসার জন্মটাই যৌনতা থেকে। তাই যৌনতাকে হেয় করে শুধু মন নিয়ে পরে থাকতে দেখলে সেটাকে ঠিক ভালোবাসা বলতে কেমন বাঁধো বাঁধো ঠেকে । তবে জন্মটা শরীরের চাহিদা থেকে হলেও গাছটা বেড়ে উঠে মস্তিষ্কে। সেখানেই সে মহীরুহে পরিনত হয়। ফুল দেয়,ফল দেয়,পত্র পল্লবীতে বিকশিত হয়। তাই শুধু শরীর কিংবা শুধু মন দিয়ে ভা
সোস্যাল মিডিয়ার কল্যানে পরিচিত/অপরিচিত অনেককেই দেখছি ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের আত্মত্যাগের প্রতি যদি আপনার শ্রদ্বা থাকে,তাইলে আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিলেন কোন অধিকারে?আজ আমি ক্লান্ত নিজের অপ্রকাশিত কথামালার ভারে।
সমাজে চলতে গেলে অনেকসময় অনেক কিছু এড়িয়ে যেতে হয়। কিছু কারন সমাজের গোঁড়ামি আর কিছু কারন ব্যক্তিগত। প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা হার হামেশাই ঘটে। ধরুন দু'জন দেখা করার প্রোগ্রাম করলো। কিন্তু হয়তো বহুবছর পর বাল্যবন্ধুদের সাথে ব্যচেলর পার্টি পরে গেলো কিংবা বাসায় হয়তো মেহমান আসলো। তখন এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া হয়তো আর উপায় থাকে না। প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা কখনও বুঝতে চায় না তার সাথে দেখা করার থেকে প্রিয়জনের এসব কাজ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তখন ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়ার প্রয়োজনে হয়তো এমন কোন অজুহাত দাড় করাতে হয় যার গুরুত্ব ভালোবাসার মানুষটার সাথে দেখা করার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিনয় আমাদের করতে হয়। এরকম হাজারো ঘটনার অবতারণা করা যাবে। যেসব ক্ষেত্রে আমরা এড়িয়ে যেতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। একটুখানি অভিনয় করে যদি অস্বস্তিকর পরিবেশ এড়িয়ে যাওয়া যায় তাহলে সেটাই ভালো। এই এড়িয়ে যাওয়াটাকে আমার ভন্ডামি মনে হয়। খুব সূক্ষ্ম ধরনের ভন্ডামি। যার আদৌ কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরা এই ভন্ডামিকে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই নেই। হয়তো পারতপক্ষে এর কোন প্রভাব আমাদের জীবনে পরে না। কিন্তু এইসব সূক্ষ্ম বিষয়গুলোর প্রভাব অবশ্যই রয়ে
ফেসবুকে একটা ছবি দিলে দুই-আড়াইশো লাইক পরে। কিন্তু একটা লেখা দিলে সর্বোচ্চ বিশ-ত্রিশটা লাইক হয়তো পরে। একটা ছবি দিতে আমার মস্তিষ্কের উপরে কোন চাপ পরে না। একটা লেখা লিখতে মস্তিষ্কে অনেক চাপ পরে। কতবার ভাবতে হয়। লেখাটা বহুবার কাটাছিড়া করতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ বাঙালী বিনোদন খোঁজে। তাই লেখা পড়ার ধৈর্য্য তাদের কম। তারা ছবিতে লাইক-কমান্ড দিতেই বেশি মজা পায়। লেখা পড়তে গেলে মস্তিষ্কের যেটুকু গঠন হওয়া দরকার অধিকাংশ বাঙালির সেটা হয় নি। আগে তবু মানুষ সময় কাটানোর জন্য হলেও দু'একখানা বই পড়তো। আর এখনতো সময় কাটানোর মাধ্যমের অভাব নেই। এমন একটা প্রজন্ম আমরা তৈরি করছি যারা প্রচন্ড বই বিমুখ। একটা বই বিমুখ জাতির ভবিষ্যৎ ভাবতেই ভয় হয়। আমাদের যতই অর্থনৈতিক উন্নতি হোক,জাতি হিসেবে বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে না পারলে আমাদের কখনই মানসিক উন্নতি সম্ভব নয়। আর মানসিক উন্নতি ব্যতীত একটা জাতির ভবিষ্যৎ কি হতে পারে সেটা কল্পনা করতেও আতংকিত হয়ে পরি।
আমি যখন প্রেমে পরি তখন আমার বয়স প্রায় কুড়ি। এর আগেও আমি প্রেমে পরেছি। তবে সেগুলো ছিলো সাময়িক মোহের তাড়না। তখন সেটা বুঝতে শিখিনি। ওটাই ছিলো আমার প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসা, প্রথম সিক্ত হওয়া,প্রথম যন্ত্রণা। ভালোবাসার অনাবিল সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে কোথা থেকে চারটি বছর হারিয়ে গেলো বুঝতে পারিনি। আবেগের তীব্রতার কথা ভাবলে এখন মাঝে মাঝে হাসি পায়। তাইতো খুঁজে ফিরি। প্রেম-ভালোবাসা। মনে হয় সবই মানুষের কল্পনা আর বিনোদনের অনুষঙ্গ। মূল ব্যপারটা আসলে প্রয়োজন। কিন্তু এরকম ভাবতে বড্ড খটখটে মনে হয়। তাইতো প্রেমিক হতে মনে চায়।
আমার সামান্য লেখায় কিছুই হবে না। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধ করবে না। পৃথিবীর কোথাও যুদ্ধ থামিয়ে সবাই শান্তি খুঁজবে না। তবু লিখছি। কেননা আমি শান্তি চাই। পৃথিবীর নিয়মে সবাইকে মরে যেতে হবে। আমাকেও। তবু এই যুদ্ধ-বিগ্রহ হানাহানির ঘটনা শুনলেই ভয় হয়। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়।
মাঝে মাঝে অপরাধী স্বত্বাটার লাগাম ছেড়ে দেই,মাঝে মাঝে হাত ফসকে ছুটে যায় লাগামটা। রক্ত-মাংসের দেখা পেলেই ঝাপিয়ে পড়ে দুর্নিবার গতিতে। নাক,চোখ,মুখ,মস্তিষ্ক সব দিয়ে চেটেপুটে খেয়ে ফেলতে উদ্যত হয়। আবার নিজেকে গুটিয়ে নেয় নিজের কোমল গন্ডিতে। বসে বসে ওর অপরাধগুলো দেখে,উপভোগ করে,লজ্জা পায়,রেগে যায়। কখনও মনে হয় স্বাভাবিক তাড়না,কখনওবা তীব্র হাহাকার, কখনওবা সুতীক্ষ্ম অন্ধকার। বসে বসে হিসেব কষে। কোথায় এর উৎপত্তি, কিসেইবা ওর প্রাপ্তি,আর কিসেইবা ওর সমাপ্তি। ওর রুপটা ঠিক জারিফের মতোই। বুয়েটের শিক্ষার্থী। একই শিক্ষায় বেড়ে উঠেছে ওরা। যৌনতা শিখেছে চটি পড়ে আর পর্নোগ্রাফি দেখে। এইভাবেই বেড়ে উঠছে সমাজটা। যৌনতা নিয়ে সঠিক শিক্ষাটার বড় অভাব অনুভব করি৷ তাই জানার চেষ্টা করি,জানানোর চেষ্টা করি।
  আমেরিকার আগ্রাসনও অন্যায়, ইসরায়েলের আগ্রাসনও অন্যায়, সৌদির আগ্রাসনও অন্যায়, চীনের আগ্রাসনও অন্যায় আর রাশিয়ার আগ্রাসনও অন্যায়। এই সহজ সত্যটা মেনে নিতে সমস্যা কোথায়😲
প্রিয়জনের অপেক্ষায় কাটিয়ে দেয়া মুহূর্তগুলো আমাদের মধ্যে যে তীব্র আবেগ সৃষ্টি করে তারথেকে মধুর আর কিছুই নেই। আমরা অপেক্ষায় থাকতে ভয় পাই। এই মধুর বেদনা সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নাই। তাইতো হুট করে প্রিয়জন বদলাতে আমাদের জুড়ি নাই।
খুব নিঃসঙ্গতা যখন আঁকড়ে ধরে শরীর,মস্তিষ্কে শুঁয়োপোকার মতো যখন কিল বিল করে অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ঠিক তখনি। প্রচন্ড উত্তাপে ভেসে যেতে ইচ্ছে হয় রাঙাবালী। তোমাকে তীব্র চুম্বনে চূরমাড় করে দিতে মন চায়। মনে হয় চিঁড়ে চেপ্টে ধ্বংস করে ফেলি। সীমাহীন ক্রোধে আছড়ে ফেলি শক্ত তক্তপোশের জীর্ণ তোষকের উপরে। উদ্দাম নৃত্যে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি তোমার উপরে।

অপেক্ষায় আছি

অপেক্ষায় আছি।সেইদিনের। যেদিন প্রত্যেকটা নারী স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার পাবে। সমাজের কুপ্রস্তাবের ভয়ে নিজেকে যেদিন কেউ গুটিয়ে নেবে না অন্ধকার কোন ঘরের কোনে। শুধু মা হওয়ার কারনেই সন্তানের সকল দায়িত্ব যেদিন তার কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হবে না। সন্তানের সুখের জন্য যেদিন তাকে বিসর্জন দিতে হবে না নিজের সকল সুখ-শান্তি নির্বিশেষে। একটা সুখের পায়রা খাঁচার মধ্যে ডানা ছটফটিয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি। অপেক্ষায় আছি। সেইদিনের। যেদিন পায়রাটা ডানা মেলে উড়ে বেড়াবে মুক্ত আকাশে।
প্রেয়সীর স্বেচ্ছায় ধর্ষিত হবার কাব্যের তুলনায় মর্মান্তিক কাব্য আর কিইবা হতে পারে । কতশত প্রেয়সী প্রতিদিন স্বেচ্ছায় ধর্ষিত হচ্ছে প্রেমিকের অগোচরে। এই সমাজ বাস্তবতার বিচারে। মুক্তি খুঁজে ফেরে ওরা। প্রেমিকের প্রেয়সী হয়ে হারিয়ে যাবার স্বপ্নের ডানাও, নিজেই কেটে ফেলে একদিন। এক একটা জীবন্ত লাশ ফুটন্ত গোলাপের ন্যায় সৌরভ দেয়। সবাই তাকে ছুঁতে চায়। কিন্তু শুষ্ক গোলাপ সদা নিজের উজ্জ্বলতা খুঁজে বেড়ায়। ওদের ছুঁতে চাওয়া দেখে ঘৃনায় মুখ লুকায়। এভাবেই ওরা বেঁচে রয়। সমাজ, তুমি মরে যাও। মৃত হয়ে যাওয়া গোলাপ পাপড়িগুলোকে বাঁচতে দাও।
প্রিয়ার তীব্র ভালোবাসা পেয়েও নিঃসঙ্গতা জাপটে ধরে শরীর। প্রতিটি নিঃসঙ্গতার একটা আলাদা ভাষা আছে। আমাদের মূর্খতা তার খোঁজ জানে না। তাইতো লক্ষ মানুষের মাঝে থেকেও আমরা নিঃসঙ্গ। মানুষ খুব তীব্রভাবে অসহায় তার নিজস্ব নিঃসঙ্গতায়।
আমাদের সমাজে পরিবারের থেকে প্রিয়জন আর কেউ নেই। পরিবারশূন্য মানুষগুলো সবসময় একটা প্রিয়জন খুঁজে বেড়ায়। সেই প্রিয়জনের সামান্য অনুপস্থিতি তীব্র বেদনার সৃষ্টি করে। সেটা সহ্য করা যায়। কিন্তু প্রিয়জনের দীর্ঘ সময়ের অনুপস্থিতি আমাদের স্থবির করে দেয়। আমাদের সমাজে প্রয়োজনের প্রিয়জনের অভাব নাই। কিন্তু অবচেতন যেই প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়ায় তার খোঁজ পাওয়াটা বড্ড দায়। তাইতো অবচেতন সদা খুঁজে বেড়ায়। কারও মাঝে যখন তার দেখা পায়; নিজেকে সম্পূর্ণ সঁপে দেয়। তবু কোথায় একটা অপূর্ণতা রয়ে যায়। এই অপূর্নতার শেষ কোথায়, সেটা জানাটা আরও কঠিন মনে হয়।
কেউ একজন হয়তো তীব্র অপেক্ষা নিয়ে একাকী রাত কাটাচ্ছে। তার সেই অপেক্ষা উপেক্ষা করার মতো জঘন্য আর কিছুই হতে পারে না। কেননা রাত মানুষকে এতটাই নিঃসঙ্গ করে দেয়, মানুষের যৌক্তিক চিন্তা করার মানসিকতা বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেই নিঃসঙ্গতার একমাত্র যৌক্তিকতা প্রিয় মানুষটার উপস্থিতি। আমরা এই জঘন্য কাজটা করি। অপেক্ষায় থাকা মানুষটার একাকীত্ব তার মতো বুঝতে পারি না। নিজের একাকীত্বের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করি।
অবচেতনের কামনায় ফ্রয়েডীয় আত্মার বিস্ফোরণ। নিশিরাতে ভূতে ধরে আর অবচেতন খুঁজে ফেরে। যেসকল স্মৃতি শত সহস্র বছর চাপা পরে, তাহারে সে খুঁজে ফেরে। নাকি গতদিনের কামনারে?হয়তোবা গত বছরের দুঃস্বপ্নগুলোরে। বহু বছরের শুকিয়ে যাওয়া স্মৃতির ডামাডোলে, মনে হয় মানসিক অসুস্থতার সুস্থতারে। ফ্রয়েডীয় আত্মা তাড়িয়ে ফেরে। নিজেকে প্রকাশের অদম্য আকাঙ্ক্ষায় নিউরনগুলো সব ছটফটিয়ে মরে। তবু কোথায় যেন যুক্তি ফাঁদে, অবচেতন একাকী নিরালায় কেঁদে মরে।
আমার চিন্তাভাবনা অনেক আধুনিক বলে আমি মনে করি। কিন্তু একজন তালাক প্রাপ্ত নারীকে বিয়ের আগে অনেকবার ভাববো। কেননা আমিও একজন ভার্জিন মেয়েকে জীবনসঙ্গী হিসেবে নিজের অজান্তে চাই। সমাজের অন্যদের কথা জানি না। নিজের এই চিন্তাটা যেদিন বুঝতে পারলাম সেইদিন বুঝতে পারলাম মানুষ হওয়াটা কতটা কঠিন। আমার অনেক চিন্তাভাবনাই ঠিক মানুষের মতো নয়। সমস্যাটা বুঝতে পারি কিন্তু সমাধান করাটা আমার জন্য অনেক চ্যালেন্জের। তবু আমি চেষ্টা করছি মানুষ হবার।

প্রেম

Image
প্রেমে পরার কোনো বয়স নাই। তবে একেক বয়সে মানুষ একেক জিনিসের প্রেমে পরে। তাই যেকোনো বয়সে প্রেমে পরলেও সেই প্রেমের গতিপ্রকৃতি ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। বাল্যবেলার উদাসী প্রেম, তারুণ্যের উদ্দামতার কাছে কোনো পাত্তা পায় না। মূর্খ মস্তিষ্কের আবেগের বিস্ফোরণ, যৌক্তিক মস্তিষ্কের কাছে অনেকটা হাস্যকর মনে হয়। আবার কর্মব্যস্ত পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভালোবাসাটাও আবার বড্ড বেশি যান্ত্রিক মনে হয়। সবই নিউরনে চলা কিছু সাময়িক বিদ্যুতের চলাচল আর রাসায়নিকের বিক্রিয়া মানুষ একদিন হয়তো ওষুধ দিয়ে প্রেম-ভালোবাসাও নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসবে

লেটস টক অ্যাবাউট সেক্স

Image
একটা হেটারোসেক্সুয়াল সম্পর্কের শুরুতে যৌন আকাঙ্খা থাকবেই।সেটা কম-বেশি হতে পারে। তবে এই আকাঙ্খার স্থায়ীত্ব খুব বেশি নয়। শরীরের চাহিদা শেষ হয়ে গেলে সেই আকাঙ্খাও শেষ হয়ে যায়। তাই বলে এই আকাঙ্খা অনেকেই স্বীকার করতে চায় না। একটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই আকাঙ্ক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এখন শুধুমাত্র যৌন আকাঙ্খা দিয়ে যে সম্পর্কগুলো তৈরি হয় তার স্থায়ীত্বকাল খুবই কম হয় সাধারণত। যৌন আকর্ষণের বাইরেও অনেক কিছু আছে যেগুলো একটা সম্পর্ককে দৃঢ়তা দেয়। কিন্তু ধর্মগুলো যেহেতু নর-নারীর এই সম্পর্কগুলোকে পাপ মনে করে তাই এসব সম্পর্ক নিয়ে কোথাও খুব বেশি আলাপ হয় না। তারা একটা সামাজিক দায়বদ্ধতার মধ্যে সবকিছুকে বেঁধে ফেলতে যায়। ফলশ্রুতিতে মানুষের মস্তিষ্ক এসব নিয়ে চিন্তা করাটাও পাপ মনে করে। কিন্তু স্বাভাবিক তাড়না থেকে ধার্মিকরাও এই পাপকর্ম করতে একটুও দ্বিধা করে না। যে সম্পর্কগুলো সবচেয়ে মধুর হতে পারতো, সবচেয়ে পবিত্র হওয়া উচিত ছিলো- সেগুলো আমাদের অবচেতন অন্যায় মনে করে। আমরা একটা দ্বৈত সত্বা নিয়ে সমাজে চলি। আবার একজন মানুষ একইসময় একজন মানুষের সাথেই সম্পর্কের দায়বদ্ধতায় জড়াতে পারে। একজনের সাথে কমিটেড থাকলে আর কারও সাথে তা
মনের মিল হবে আসরে স্বার্থ বিলীন হবে..... দে না একটা বাঁশিরে প্রথমে সূর তোল ধীরে.... আয়না মন খুলে মাতিরে আহ্হ্ গুরুর সিদ্ধিরে..........

কবিতা ও আমি

আমি কবিতা লিখতে পারি না,মনের মাধুরী মিশিয়ে কল্পনার রংয়ের মিশেল আমার দ্বারা সম্ভব না। আমি যুক্তিতেই পাই ভরসা। আমি কারও মন রক্ষার গান গাইতে পারি না। কল্পনার শত রং মিশিয়ে প্রেয়সীর প্রশংসা আমি পারি না। সত্য সুন্দর বলে যাই। এটাই আমি। হয়তো শত মানুষের অপছন্দের কারন এটাই। তাইতো প্রেমের কোমলতা আমায় স্পর্শ করে না। প্রয়োজনীয়তাকেই আমি ভালোবাসা মানি। এর বাইরে কল্পনাকে আমি বুঝি না। তবু মিথ্যে ছলনার কোমলতার স্পর্শে বার বার হারিয়ে যেতে মন চায়।

চেতন আর অবচেতন

একদিন চেতন আর অবচেতনকে এক করে দিয়ে হারিয়ে যাবো মহাশূন্যের কোনো নির্বিবাদী গ্রহান্তরে। কেউবা অবাক হবে, কেউবা আঘাত পাবে, কেউবা দীর্ঘশ্বাস ফেলবে, কেউবা রেগে যাবে। চেতনের ভাবপ্রকাশে কতশত বার ফিল্টার করতে হয় প্রতিটি লেখাকে, মাইক্রোস্কোপিক জালিতে ছাঁকতে হয় প্রতিটি চিন্তাকে। যেন কারও অনুভূতি আবার আঘাতপ্রাপ্ত না হয়। প্রকাশিত হবার অসহ্য যন্ত্রনায় ছিঁড়ে যেতে চায় মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ। কোলেস্টেরলের চাপে যেমন বাঁধ জমে নিউরনের কোষগুলোতে, স্ট্রোকের প্রতিটি ঝাঁকিতে মৃত্যু হয় একটির পর একটি কোষের; তেমনি বাঁধ জমে অনুভূতি বাচানোর তীব্র আর্তনাদের, মৃত্যু হয় চিন্তাগুলোর। তবে অবচেতনের অতোশত ভাবনা নেই। যা মনে আসে তাই বলে দেয়। কখনও প্রেমিক হয়,কখনও কামুক হয় আবার কখনওবা সমালোচক হয়৷ সে কি তীব্র সমালোচনা। সমাজের রক্তচক্ষুর কোনো ভয় ওর নেই, নেই সামাজিকতা রক্ষার নির্মম বাস্তবতার কোনো নয়-ছয়, পাছে লোকে কিছু বলাকে ও বা*টা দিয়েও পোছে না। শব্দশৈলীর অপার্থিব প্রকাশে ঝরনাধারার মতো প্রবাহিত হতে থাকে চিন্তাগুলো। চিন্তার কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জন্ম নেয় নিত্য নতুন কোষের সমাহার। ধীরে ধীরে বীজ থেকে চারা হয়, চারা থেকে জন্ম নেয় ব
কতজন মরলো। চল্লিশ, পঞ্চাশ নাকি আরও বেশি। প্রতিদিনই তো মরছে। সড়ক দূর্ঘটনায় মরছে, আগুনে পুড়ে মরছে, লাঠির আঘাতে মরছে, ক্ষুধার যন্ত্রণায় মরছে, চিকিৎসার অভাবে মরছে। এইদেশে জন্মালে অপঘাতে মরে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই মানুষ মরে যাচ্ছে। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী অনেকেই আমাকে লেখালেখি করতে নিরুৎসাহিত করেন। কেননা নিজের পরিচয়ে মত প্রকাশ করাটাও এদেশে অস্বাভাবিক মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসতে পারে। ইহা প্রমানিত। তবে দূর্ঘটনায় মৃত্যুর চেয়ে, একটা ভালো কাজ করতে গিয়ে মরে যাওয়াটা আমার কাছে উত্তম মনে হয়। নিজেকে সবাই ভালোবাসে। এই সুন্দর পৃথিবীর নির্মল আলো-বাতাসে বেঁচে থাকার সুতীব্র আকাঙ্খা আমারও রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের আলো-বাতাস কি নির্মল আছে? প্রতিদিন অপঘাতে মৃত্যুর পোড়া গন্ধে ভারী হয়ে উঠছে এই দেশটা। এই দূষিত বাতাস আর প্রিয়জনের আর্তনাদের মাঝে বেঁচে থাকাটাই আরেক দূর্বিষহ যন্ত্রণা। তারথেকে নাহয় কিছু প্রতিবাদ করে মরে যাই। যেই অন্ধ মানুষেরা সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে কিন্তু নিজের অজান্তে একটা দূর্বিষহ পৃথিবী গড়ে তুলতে সাহয্য করছে তাদের নাহয় কিছু বোধের জাগরণ হোক। আমাদের ভয় দেখিয়ে নিশ্চুপ রাখতে পারলেই কি
  এই শহরের প্রেমিকারা প্রেমিক খোঁজে না,একটা আশ্রয় খোঁজে। প্রেমিকরা প্রেম চায় না, কাম চায়। এই শহরে প্রেমিকাদের প্রেমিকের কোনো অভাব নেই। তবু ভিপিএনের মতো আপন প্রেমিক কিছুই নাই।
প্রস্ফুটিত বক্ষ আর ভারী নিতম্ব মস্তিষ্ককে যতটা আলোড়িত করতে পারে, লেখকের কল্পনার প্রেম ঠিক ততটা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তাইতো প্রয়োজনটাই প্রেম মানি আর কল্পনাটাকে প্রেম জানি। যদিও গল্প ছাড়া বর্তমানের পৃথিবীটা অচল সেটাও মানি।
বন্যাদূর্গত মানুষদের নিয়ে সোস্যালের গোয়ালে কত-শত পোস্ট। সাহায্যের জন্য কতশত বিকাশ আ্যকাউন্ট। এসব দেখে ব্যস্ত জীবনের খোলসটা ফেলে নিজেরও মাঝে মাঝে ছুটে যেতে মন চায়। তবু এক অব্যক্ত অভিন্নতায় বন্যাদূর্গত মানুষগুলোর মতো বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাই। আকস্মিক বিপদে ওদের সাহায্য করার মানুষের কোনো অভাব নেই। সরকার,বিরোধীদল,আস্তিক, নাস্তিক,মিডিয়া,সোস্যাল মিডিয়া সবাই আছে। কিন্তু এই আকস্মিক বিপর্যয় কেটে যাওয়ার পর আর কাউকে পাওয়া যাবে কি? নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তোলা স্বপ্ন বানের জলে ভেসে গেছে। দু'মুঠো খাওয়ার লড়াইয়ের মাঝে ওরা অনেকেই একদিন ভুলে যাবে ওদেরও স্বপ্ন ছিলো। এরকম লক্ষ লক্ষ স্বপ্ন প্রতিদিনই শ্মশানে যায়। আমরা শুধু বেঁচে থাকার লড়াইয়ের জন্যই জন্মাই, মার খাই, মরে যাই।

স্যাংশন

আমেরিকা ও তার মিত্র পশ্চিমাদের মতো আগ্রাসী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিলে সেটা নিয়ে এতো নিউজ,আলোচনা করার কি আছে ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। ওরা আফগানিস্তান, ইরাক,ইরানের উপর আগ্রাসন চালিয়েছে। আফগানিস্তান এখন ওদের স্যাংশনে ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলছে। ইরানে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। ওদের দুঃশাসনের ফিরিস্তি শেষ করা যাবে না। কিন্তু বিএনপি এইটা নিয়া সরকার ফালাইয়া দেয়ার আশা করবে কেন? আওয়ামীলীগও বিচলিত; সেটা তাদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে বোঝা যাচ্ছে। আমার মতো নিতান্ত সাধারন মানুষও কিছুটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। কারন ওদের মনেপ্রাণে যতই ঘৃনা করি, আদর্শগত যতই দ্বন্দ্ব থাক,ওদের সাহায্য ছাড়া আমরাও একটা আফগানিস্তান হবো, সেটা বুঝতে খুব বেশি জ্ঞানের দরকার নেই। সমস্যাটা হলো এই সমগ্র স্যাংশন আর মানবাধিকারের খেলার মধ্যে একটা ভূ-রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। আমাদের অর্থনীতিতে চীনের বিনিয়োগ বাড়ছে,সামনে হয়তো রাশিয়ার বিনিয়োগও আসতো। কিন্তু সরকার এখন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পশ্চিমাদের দিকে আরও ঝুঁকবে। ফলে অন্যদিকের বিনিয়োগ হারানোর সুযোগ তৈরি হবে। আমিও আমার ভোটের অধিকার চাই,মানবাধিকারের সঠিক প্রয়োগ চাই,বাকস

ধর্ম।

Image
ধর্ম। এ-বিষয়ক কোনো গঠনমূলক আলোচনা চলবে না। কেউ কিছু বললেই তাকে সমাজ থেকে অনেকটা একঘরে করে দেওয়া হয়। আমার জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত যার আলোকে চলবে, মৃত্যুর পরে অনন্তকাল আমার সুখ কিংবা শাস্তি যাহার উপরে নির্ভর করবে সেটা নিয়ে আমি কোনো প্রশ্ন করতে গেলেই আমাকে নাস্তিক, কাফের আরও কতশত ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হবে। তারপর শুরু হবে কল্লা ফেলার হুমকি। যারা ধর্মগুরু তাদের কাছেই প্রথমে জানতে চাইলাম। কেউ বলে সুন্নীরা প্রকৃত মুমিন,কেউ বলে শিয়ারাই নবীর বংশধর,আবার কেউ বলে আহলে সুন্নত নাহলে জাহান্নাম নিশ্চিত, আবার কেউ বলে ওয়াহাবি ছাড়া সঠিক মুমিন হওয়া যাবে না। আরও আরও কত কত ভাগ তাহারা আবার বলে তাদের পতাকাতলে না গেলে মুক্তি মিলবে না। বাধ্য হয়ে নিজে পড়তে নিলাম। মুসলমান হয়ে জন্মেছি বলে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবলাম। পবিত্র কোরআনের অর্থসহ পড়তে গিয়ে শুনলাম আরবি না জানলে নাকি এই কোরানের কিছুই বোঝা যাবে না। কি অদ্ভুত যুক্তি। তবুও আরবি ভাষাটা শেখার চেষ্টা করছি। কিন্তু ততদিনে কি তাহলে না জেনে অন্ধের মতোই মেনে যাবো বাংলায় কোরআন,হাদিস,তাফসির যা কিছু অথেনটিক পেয়েছি গেলার চেষ্টা করেছি। সহজ সত্যটার অনুসন্ধান করে চলেছি বহুদিন। নি

অভিনন্দন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

সরলপথে পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত আলোর যেতে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় লাগে।পৃথিবী থেকে বর্তমান সময়ে আমরা সূর্যের ছবি তুললে সূর্যের আট মিনিট আগের ঘটনা দেখতে পারবো। এটা মূলত আলোর গতির সাথে সম্পর্কিত। আমরা একটা বস্তু যখন দেখি সেটা মূলত বস্তুুর প্রতিবিম্ব দেখি।একটা বস্তুর উপর আলো পরার পরে সেটা বস্তুর গায়ে ধাক্কা খেয়ে(প্রতিবিম্ব) আমাদের চোখে এসে পরে। তারপর আমরা বস্তুটা দেখতে পারি। আলোর এই পথটুকু পারি দিতে যতটুকু সময় লাগে আমরা ঠিক ততটুকু সময়ের আগের ঘটনা দেখছি। বর্তমানে এক কিলোমিটার সামনের মানুষটা কি করছে যেটা দেখছি, সেটা মূলত ০.০০০০০৩৩ সেকেন্ড আগের ঘটনা দেখছি। দূরত্ব যদি চাঁদের সাথে হয় ৩৮৪,৪০০০ কি.মি. ; তবে প্রায় ১.২৫ সেকেন্ড আগের ঘটনা দেখছি। ৯৩ মিলিয়ন মাইল দূরের সূর্যে বর্তমানে দেখা ঘটনাটা মূলত সেখানে প্রায় ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড আগের ঘটেছে। তেমনি প্রক্সিমা সেঞ্চুরি,মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি, এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি- তে ঘটে যাওয়া ঘটনা কয়েক ঘন্টা কিংবা কয়েক দিন অথবা কয়েক বছর আগের ঘটনা দেখছি। আজ জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ১৩শ কোটি বছর আগের ঘটে যাওয়া মহাবিশ্বের এক অবিস্মরনীয় ছবি তুলেছে। মানব ইতিহাসের প্রথম কোনো প

যৌনতা নিয়ে মোনতা নয়

  সমাজে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য সেক্স কিংবা মাস্টারবেশন করাটা পাপ। আমাদের সমাজে যেহেতু ছেলেরা নির্দিষ্ট বয়সের পর যথেষ্ট স্বাধীনতা পায়, তাই তারা এই পাপাচারে লিপ্ত হতে খুব বেশি সময় নেয় না। লিঙ্গের ডগায় পানি আসলেই ওরা নিজের অজান্তে কামুক হয়ে উঠে। এরপর পরিবার,সমাজ, চলচ্চিত্র, রাস্তা-ঘাট সবজায়গায় তার দন্ডের জয়জয়কার দেখতে পায়। যদিও সে জানে এগুলো পাপ। কিন্তু পাপ না করে সে তার অত্যাবশকীয় চাহিদা পূরনের কোনো জায়গা খুঁজে পায় না। বেশিরভাগের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধির এই উদ্দাম শান্ত করার একটা পদ্ধতি চোখে পরে। মাস্টারবেশন। যৌনতা সম্পর্কিত সঠিক জ্ঞান নেই, তার উপর সবসময় ভয়। পাপের ভয়। একেকজনকে সেক্স ম্যানিয়াক বানিয়ে ফেলে। আর মেয়েদের ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। যথেষ্ট স্বাধীনতা পায় না। পরিবার, সমাজ, চলচ্চিত্র, রাস্তা-ঘাট, সবজায়গায় শুধুই একটাই সত্য। তোমার স্বামীর দন্ডের শান্তিই তোমার একমাত্র যৌনসুখ। তাই বয়সের প্রবল চাপ সত্বেও আকাঙ্ক্ষাকে মাটিচাপা দিয়ে জড়বস্তু হবার প্রস্তুতি নেয়। ধীরে ধীরে জড়বস্তুতে রূপ নেয়। এরপর সমাজকে প্রেমময় করতে এরা দুই গ্রুপই উঠে পরে লেগে যায়। প্রেমের হাওয়ায় উড়ে বেড়াতে চায়। একদল উন্মাদ পানির ফো

পৃথিবী হয়ে উঠুক প্রেমময়

  প্রেমের আগুনে আমাদের নিম্নাঙ্গের অপবিত্র ফুলেরা পুড়ে খাক হয়ে যাক। সমাজের দেয়া পবিত্রতার প্রতিমূর্তি মুছে যাক। প্রেমিক-প্রেমিকারা ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে খলখল করে হেসে উঠুক। আদিম উন্মাদনায় জন্ম হোক প্রেমের শিশুর। প্রেমের উন্মাদনায় ভেঙে পড়ুক যতসব নিয়মের খেলাঘর। পৃথিবী হয়ে উঠুক প্রেমময়।

একজন প্রেমিকের গল্প-

Image
একজন প্রেমিকের গল্প- হাই। তোমার সাথে শুইতে চাই। হাইটুকু শুধু সেন্ড হয় বাকিটা মস্তিষ্কের কোষে ছটফট করে মরে হায়। শুরু হয় কি করো? খাইছো? নাইছো? আরও আরও কতশত জিজ্ঞাসা। তারপর প্রেম হয়। কামের গল্প শুরু হয়। যারজন্য হাই দেয়া হয়, সেটা পরিপূর্ণতা পায়। তারপর সমাজ,রাষ্ট্র, ধর্ম, যৌনতা আরও আরও জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনার শুরু হয়। যদিও শুরু থেকে এই আলোচনাগুলোই শুধু হওয়া উচিত বলে মনে হয়। কিন্তু মস্তিষ্ক এক কানাগলিতে ঘুরপাক খায়। তোমার সাথে শুইতে চাই এটা কিভাবে বলা যায়। এই চাওয়ার সামনে পৃথিবীর কোনো চাওয়ার কোনো অস্তিত্ব নাই। কিন্তু নারীর মস্তিষ্ক যৌনতা নিয়ে কথা বলতেই ভয় পায়, অস্বস্তি হয়, নোংরামি ভেবে নেয়। বুদ্ধিমান প্রেমিকরা সেটা বুঝতে পায়। তাইতো সময় নেয়। প্রচুর সময় অপচয় হয়। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যায়। যদিও শুইতে চাওয়ার বাসনা নারী-পুরুষ সকলের ই হয়। কিন্তু সেটার জন্য কুশিক্ষা আর অশিক্ষা বাধা দেয়। কে যে কি চায় সেটা বুঝতে দু'পক্ষেরই গলদঘর্ম হয়। সৃজনশীল ভাবনাগুলো অবদমিত কামবাসনার কাছে হেরে যায়। সভ্য সমাজটা এভাবেই গড়ে উঠেছে হায় একজন প্রেমিকার গল্প- আরেকটু বুঝি তারপর নাহয়

লেটস টক অ্যাবাউট সেক্স

একজন ছাত্রনেতার ভিডিও নিয়ে সোস্যালের গোয়ালে তোলপাড় চলছে। এর রাজনৈতিক ব্যবহার করার সুযোগ কেউ ছাড়বে না। তাই রাজনৈতিক বিষবাষ্পে আমি যেতে চাই না। রাজনীতিবিদেরা দূরত্ব বজায় রাখুন। তবে উনি এমন একটা কাজ কিভাবে করলো? তার উপর একজন রাজনৈতিক নেতার নৈতিকতা এতো নিচুতে নামে কিভাবে? এইরকম হাজারো সাধারনের পোস্ট,কমেন্ট চোখে পরেছে। এখন কথা হলো আমাদের প্রজন্মের যতজনকে আমি চিনি কিংবা জানি প্রায় প্রত্যেকে কৈশোরে চটি পড়ে যৌনতাকে জেনেছে, একটু বড় হয়ে পর্নোগ্রাফি আসক্ত হয়েছে, আরেকটু সুযোগ পেলে প্রায় সবাই ফোন সেক্স করেছে কিংবা ট্রাই মেরে ব্যর্থ হয়েছে। আর প্রায় শতভাগ বাঙালি মাস্টারবেশনে অভ্যস্ত। বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত নির্বিশেষে। কিন্তু যখনই কারও ব্যক্তিগত যৌনজীবন নিয়ে কিছু প্রকাশ পেয়ে যায় চারদিকে হায় হায় রব উঠে। মেয়েদের কোনো যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা হলে তো বাঙালির ইদ আনন্দ। কারও যৌনজীবন প্রকাশ্যে আসা মানেই সে ক্যারেক্টার লুস এমন নয়। চটি পড়ে কিংবা পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে যৌনতাকে জানাকে আমি সাপোর্ট করছি না। কিন্তু যৌনতা একটি প্রাকৃতিক চাহিদা। অর্গাজমের সুখের জন্য মানুষ অনেককিছুই করে। সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এবং সঠিক সম

ফালতু

অবদমিত কামনার চূড়ান্ত বিস্ফোরণ।নিজের সকল শিক্ষাকে একমুহূর্তেই শূন্য করে দেয়।শত শত বইয়ের পৃষ্ঠা বিবেচনাকে থাপ্পড় মেরে জানান দেয় " মানুষ হওয়া অমানবিক কাজ"।মানুষ তো দিনশেষে জন্তু ছাড়া কিছুই নয়। নিরর্থক এই মহাবিশ্বের কোনো কিছুরই কোন অর্থ নেই। সেখানে মানুষ হয়ে উঠতে চাওয়াটারই বা😉😉😉 যৌক্তিকতা কোথায়

আমার বই পড়া

হুমায়ুন আজাদ আমার অবিশ্বাস বইয়ের প্রথম পরিচ্ছেদে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,দান্তেসহ প্রায় সকল বিশ্বাসী লেখকের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ব করেছেন। তারমতে এদের কাব্যের মাধুর্য্য উপভোগ করা যায় কিন্তু তাদের চিন্তা-ভাবনার অসারতা ছিলো। তারা কেউই জীবনের নিরর্থকতাকে মেনে নিতে পারেনি। "আমরা নিরর্থকতার মধ্যে বন্দী হয়ে আছি, কিন্তু তা মেনে না নিয়ে, আপন পথ খুঁজে, পথ তৈরি করে সার্থক করতে পারি নিজেদেরকে। " এইসব বিশ্বাসী লেখকের তৈরি প্রেম-ভালোবাসার কাল্পনিক অস্তিত্বের মাঝেই বহুদিন নিজের ভালোবাসা খুঁজে ফিরেছি। তারপর হতোদ্যম দিয়েছি। নিজের পথ তৈরি করে সার্থকতা খোঁজার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু অতীতের সেই কল্পনাকে সত্য মেনে নেয়া মস্তিষ্ক এতো সহজে নতুন পথকে স্বাগত জানাতে চায় না। তাইতো অশান্ত হয়ে উঠে। পথ হারায়। খুঁজে বেড়ায়। আবার হতোদ্যম হয়। আবারও খুঁজতে বের হয়। বইয়ের পাতায়, প্রেমিকার মৌনতায়, আদিম যৌনতায়।