ধর্ম।
ধর্ম। এ-বিষয়ক কোনো গঠনমূলক আলোচনা চলবে না। কেউ কিছু বললেই তাকে সমাজ থেকে অনেকটা একঘরে করে দেওয়া হয়। আমার জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত যার আলোকে চলবে, মৃত্যুর পরে অনন্তকাল আমার সুখ কিংবা শাস্তি যাহার উপরে নির্ভর করবে সেটা নিয়ে আমি কোনো প্রশ্ন করতে গেলেই আমাকে নাস্তিক, কাফের আরও কতশত ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হবে। তারপর শুরু হবে কল্লা ফেলার হুমকি।
যারা ধর্মগুরু তাদের কাছেই প্রথমে জানতে চাইলাম। কেউ বলে সুন্নীরা প্রকৃত মুমিন,কেউ বলে শিয়ারাই নবীর বংশধর,আবার কেউ বলে আহলে সুন্নত নাহলে জাহান্নাম নিশ্চিত, আবার কেউ বলে ওয়াহাবি ছাড়া সঠিক মুমিন হওয়া যাবে না। আরও আরও কত কত ভাগ তাহারা আবার বলে তাদের পতাকাতলে না গেলে মুক্তি মিলবে না।
বাধ্য হয়ে নিজে পড়তে নিলাম। মুসলমান হয়ে জন্মেছি বলে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবলাম। পবিত্র কোরআনের অর্থসহ পড়তে গিয়ে শুনলাম আরবি না জানলে নাকি এই কোরানের কিছুই বোঝা যাবে না। কি অদ্ভুত যুক্তি। তবুও আরবি ভাষাটা শেখার চেষ্টা করছি। কিন্তু ততদিনে কি তাহলে না জেনে অন্ধের মতোই মেনে যাবো
বাংলায় কোরআন,হাদিস,তাফসির যা কিছু অথেনটিক পেয়েছি গেলার চেষ্টা করেছি। সহজ সত্যটার অনুসন্ধান করে চলেছি বহুদিন। নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকতে চেয়েছি সবসময়। কিন্তু পারিনি। কারন ভয়,লোভ আর অজ্ঞতা দিয়ে গড়া কঠোর বেষ্টনীর মধ্যে থাকা সমাজের উপর নির্ভরশীল একজন মানুষ কখনোই নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থেকে জীবন উদযাপন করতে পারে না-সেটা বুঝে গিয়েছি। তাই মাঝে মাঝে বিবেকটাকে বিকিয়ে দিয়ে লালায়িত লোভের সাগরে হাবুডুবু খাই,আর মানুষ হবার রাস্তাটার শোক সংবাদ প্রকাশ করে যাই।
Comments
Post a Comment