স্যাংশন
আমেরিকা ও তার মিত্র পশ্চিমাদের মতো আগ্রাসী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিলে সেটা নিয়ে এতো নিউজ,আলোচনা করার কি আছে ঠিক বুঝে উঠতে পারি না।ওরা আফগানিস্তান, ইরাক,ইরানের উপর আগ্রাসন চালিয়েছে। আফগানিস্তান এখন ওদের স্যাংশনে ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলছে। ইরানে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। ওদের দুঃশাসনের ফিরিস্তি শেষ করা যাবে না।কিন্তু বিএনপি এইটা নিয়া সরকার ফালাইয়া দেয়ার আশা করবে কেন? আওয়ামীলীগও বিচলিত; সেটা তাদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে বোঝা যাচ্ছে। আমার মতো নিতান্ত সাধারন মানুষও কিছুটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। কারন ওদের মনেপ্রাণে যতই ঘৃনা করি, আদর্শগত যতই দ্বন্দ্ব থাক,ওদের সাহায্য ছাড়া আমরাও একটা আফগানিস্তান হবো, সেটা বুঝতে খুব বেশি জ্ঞানের দরকার নেই।
সমস্যাটা হলো এই সমগ্র স্যাংশন আর মানবাধিকারের খেলার মধ্যে একটা ভূ-রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। আমাদের অর্থনীতিতে চীনের বিনিয়োগ বাড়ছে,সামনে হয়তো রাশিয়ার বিনিয়োগও আসতো। কিন্তু সরকার এখন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পশ্চিমাদের দিকে আরও ঝুঁকবে। ফলে অন্যদিকের বিনিয়োগ হারানোর সুযোগ তৈরি হবে। আমিও আমার ভোটের অধিকার চাই,মানবাধিকারের সঠিক প্রয়োগ চাই,বাকস্বাধীনতা চাই। আরও অনেক কিছু চাই যেটা আরও অনেক অসহায় মানুষ চায়। কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক খেলার স্বীকার হয়ে দেশের শাসনব্যবস্থা পাল্টে যাক সেটা আমি চাই না। হয়তো এমন দিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা সবাই বুঝতে পারবো কাদের নেতৃত্বে আমরা আমাদের সকল নাগরিক অধিকার সমানভাবে পাবো।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন নয়, আমি সমাজের পরিবর্তন চাই। সমাজের পরিবর্তন ব্যতিরেকে সর্বোচ্চ আখন্দজুদা কিংবা খমেনীদের নেতৃত্ব পাওয়া যাবে।(পুরান ফাইল)
Comments
Post a Comment