ধর্ম ও বিজ্ঞান

ধর্মের অনেককিছুই বিজ্ঞানের সাথে মিলে যায়। ধার্মিকরা এই দাবিটা প্রায়ই করে। কিন্তু ধর্ম যেভাবে কোনোকিছু ব্যখ্যা করে বিজ্ঞান সেভাবে করে নাহ। বিজ্ঞান কোনোকিছু সম্পর্কে একটা শব্দও বলার আগে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে,ফ্যাক্ট চেক করে। অনেক জটিল একটা প্রসেস। অধিকাংশ সাধারন মানুষ সেটা ধারনাও করতে পারে না। কিন্তু ধর্মের এতোকিছুর দরকার নেই। স্রেফ সিন্ধান্ত জানিয়ে দেয়। তাই যারা বলে ধর্মের অনেককিছুই বিজ্ঞানের সাথে মিলে যায়, তাদের যুক্তি একটাই। সেটা হলো অতিলৌকিক কেউ একজন এসব কিছু বানিয়েছেন। কিন্তু বিজ্ঞান গত শতকে পুরোপুরি সেই ধারনা বাতিল করে দিয়েছে। ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব আর স্টিফেনহকিংয়ের বিগব্যাং থিওরি মানুষের দর্শনের অতীত সকল চিন্তাকে একটা নতুন রূপ দিয়েছে। এই মহাবিশ্ব, গ্রহ-নক্ষত্র, নীহারিকাপুন্জ, প্রানের বিকাশ, মানুষের ইতিহাস সবকিছুই আধুনিক বিজ্ঞানের চোখে নিরর্থক। কোনো অর্থ নেই। বিশ্বাসীরা এই নিরর্থকতাকে মানতে পারে না, আবার আধুনিক প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কল্যানে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করারও উপায় নেই। তাই বিজ্ঞানকে ধর্মের সাথে গুলিয়ে দুটোরই গো* মেরে ছেড়ে দিচ্ছে ।


Comments

Popular posts from this blog

করোনা নিয়ে শিশুদের সাথে আলোচনা