আমাদের সমাজে ভয়াবহ ধরনের যৌন বিকৃতি বিদ্যমান। যৌনতাকে যেহেতু আমরা অস্বাভাবিক জেনে বড় হই ;তাই আমাদের অধিকাংশের যৌনতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই। যৌন আকাঙ্খা নারী-পুরুষ নির্বিশেষ সবার রয়েছে। কিন্তু পুরুষ যৌনতাকে প্রকাশ করতে যতটা প্রাঞ্জল, নারী ততটাই বিমুখ। অনলাইন এসে পুরুষের সেই প্রান্জলতা সীমা অতিক্রম করে হয়রানির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আর নারীর যৌন বিমুখতা সেই হয়রানিকে ভয়বহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে।আমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভয়াবহতার কথা মোটেই অস্বীকার করছি না। সোস্যাল মিডিয়ায় অনেক নারীর অনেকরকম নারীবাদী পোস্ট দেখি। অনেককে মাঝে মাঝে ইনবক্সে গুঁতা দেই,অনেককে কমেন্টবক্সে ঠেলা দেই। এর পিছনে অনেক রকম কারন রয়েছে। সেই ব্যাখ্যা আপাতত তুলে রাখছি। আমরা পুরুষেরা ভালো নই। নারী দেখলেই ঝাঁপিয়ে পরি। ইহা কমন ডায়ালগ। কিন্তু নারীদের কি হাল। অধিকাংশ মেয়েরাই নিজেকে আলাদা মনে করে। আলাদা মানে সে নিজেকে ঠিক মানুষ ভাবতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। সে নিজেকে একজন রমনী ভাবতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। হয়তো অনেকেই মুখে সমানাধিকারের কথা বলে,পুরুষতান্ত্রিকতাকে গাইল পারে। কিন্তু মানসিকভাবে সে নারীস্বত্বা থেকে বের হতে পারে না। একজন পুরুষ যতটা সহজে একজন নারীর সাথে আলাপ করতে পারে, একজন নারী কিন্তু সেটা পারে না। । নারীর নিজেকে গুটিয়ে রাখা কিংবা নারী হিসেবে আত্ম অহংকারী হওয়া অথবা আমার জন্য অনেকেই পাগল এই আত্ম পরিতুষ্টিতে ভোগা;এগুলোকে আমি স্বাভাবিক মনে করি না। আমি মনে করি সমাজের ভয়াবহ যৌন অসুস্থতার দায় নারী-পুরুষ সকলের। আমরা সবাই মিলে যেদিন যৌনতাকে একটা স্বাভাবিক আকাঙ্খা হিসেবে মেনে নিতে পারবো, সেইদিন থেকে সমাজের যৌন অসুখের কার্ভ নিচের দিকে নামতে শুরু করবে।

Comments

Popular posts from this blog

করোনা নিয়ে শিশুদের সাথে আলোচনা