স্কুল ড্রেস এই রিক্সা যাবা । রহমত মিয়া নিরাসক্ত দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকিয়ে বলল, কই যাইবেন? চৌরাস্তা। না ওদিকে যামু না। রহমত মিয়া ধীরে ধীরে রিক্সার প্যাডল দিতে থাকে।আজকে তার রোজগার ভাল। এখন হোটেলে গিয়ে চারটা ডাল-ভাত খেতে হবে।আজকে মুরগি দিয়া খাওয়া যায়। চিন্তাটা মাথায় আসলেও সাথে সাথে গাঁয়ে থাকা ছোট্ট মেয়েটার কথা ভেবে সে কিছুটা আনমনে হয়ে রিক্সা চালাতে থাকে।মেয়েটা এ বছর স্কুলে ভর্তি হয়েছে। একটা নতুন স্কুল ড্রেসের জন্য আজকেও মোবাইলে কান্না-কাটি করছে। এখন আয়রোজগার যখন একটু ভাল হচ্ছে তা দিয়া বাজে খরচ না করে কিছু টাকা জমিয়ে মেয়েটাকে একটা ড্রেস কিনে দিলে খুশি হবে।ছেলেটাকে তো কিছুই দিতে পারে নাই।আর দিবেই বা কোথা দিয়ে।গাঁয়ে বদলা দিয়ে যা আয় হত তা দিয়া তিনবেলা খাওয়াই জুটত না।বউটা ঠিকা কাজ করে সংসারটা কোনরকম দুইজনে চালিয়েছে।মেয়েটা হওয়ার পর ছোটশালার কথামত শহরে এসে রিক্সা চালিয়ে বাড়ি টিনের ঘর উঠছে,পোলারে মেট্রিক পাস দেওয়াইছে।হানিফ মাস্টার বলছে পোলায় নাকি খুবই ভাল পাস দিছে। রহমতকে দেখে কালু মিয়া বলে উঠল, কি মিয়া আইজ তাড়াতাড়ি আইলা যে। খ্যাপ নাই, মানু এহন ব্যাটারির গাড়ি খোজে, আমা
Comments
Post a Comment