Posts

Showing posts from 2019

বুক রিভিউ- ১ : তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে - হুমায়ূন আহমেদ

  “নবনী হাসতে হাসতে বলল, তোমার কি কোন সমস্যা আছে ,মা? আছে। কি সমস্যা? শুনতে চাস? হু চাই। আমার ধারণা,তুমি এই পৃথিবীর একমাত্র সমস্যাবিহীন মহিলা। একটা পরিষ্কার রান্নাঘর। রান্নার জিনিসপত্র এবং ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি। এই কটা জিনিস পেলেই তোমার হয়ে গেল। মানুষ যে কখন কার প্রেমে পরে তা সে নিজেও বুঝতে পারে না। শাহেদ ও বুঝতে পারেনি সে কখন শ্রাবণীর কৈশোরের উচ্ছ্বাসকে ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু সে শ্রাবনীর বড় বোন নবনীকে ভালবাসে ,পারিবারিকভাবে বিয়ের কথাবার্তাও পাকা।    নবনীর পিতা সম্মানীয় একজন  মন্ত্রী, আদর্শ একজন পিতা, স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল একজন স্বামী। তবু তার স্ত্রীর মনে শান্তি নেই। ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে ‘  পারিবারিকভাবে ছুটি কাটাতে যাওয়া একটি পরিবারের সাথে ছুটি কাটাতে গিয়ে স্যারের চরিত্র বিশ্লেষনে হারিয়ে যাওয়া । জীবনের “অনাকাঙ্ক্ষিত” নামক  ঘটনাগুলোর  সুন্দর এক কাঙ্ক্ষিত প্রকাশ হুমায়ুন আহমেদ স্যারের এর এই উপন্যাসটি।   

পাইলস বা অর্শরোগ

বর্তমানে আমাদের অধিকাংশ মানুষের একটি অন্যতম  সমস্যা হল পাইলস বা অর্শ রোগ।স্পর্শকাতর  রোগ হওয়ার কারনে সাধারন অবস্থায় এই সমস্যাটা নিয়ে আমরা পরিচিতজনের সাথে আলাপ করতে দ্বিধাবোধ করি। কিন্তু আপনি একটু সচেতন হলে এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। পাইলস বা অর্শরোগ কি এবং কেন হয়? সাধারনভাবে মলদ্বারের মাংস বেড়ে যাওয়াকে আমরা পাইলস বলে অভিহিত করি।আমাদের বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভিতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মত একটা রক্তজালিকা থাকে যা প্রয়োজনে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়।যখন পায়ুপথের এসব শিরায় সংক্রমণ ও প্রদাহ হয় এবং চাপ পরে তখন পাইলসে প্রদাহ সৃষ্টি হয় । যাকে অর্শরোগ বলা হয় ।   দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে , দীর্ঘমেয়াদী   ডায়রিয়া, অতিরিক্ত ওজন, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পায়ুপথে চাপ পরলে, পায়ুপথে সঙ্গম করলে, পানি কম খেলে, আঁশযুক্ত শাকসবজি ও ফলমুল কম খেলে, বংশে কারো পাইলস থাকলে, মলত্যাগে বেশি চাপ দিলে ইত্যাদি কারনে আপনার পাইলসে প্রদাহ বা অর্শরোগ হতে পারে । লক্ষণ ও প্রতিকারঃ অর্শরোগে যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা হচেছ - পায়ুপথের অন্ত্র বা ভেতরের অর্শরোগে সাধারণত তেমন কোন ব্যথা বেদনা , অস্বস্তি থাক
অতিরিক্ত উত্তেজনা, বিভ্রান্তি অথবা অপ্রতিরোধ্য কর্ম আমাদের দেহে শারীরিক , রাসায়নিক ও মানসিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে যা আমাদের অবচেতন মনে হতাশার জন্ম দেয় । এমনকি যেসকল শিশুরা সাধারন জীবন - যাপন করে তারাও কখন কখনও হতাশায় ভোগে। কিন্তু সর্বোপরি শিশুকালের সকল হতাশা ক্ষতিকর নয়।স্বাভাবিক হতাশা,একটি শিশু বিকাশের সময় যার মুখোমুখি হয় যেমন হাঁটতে শেখা, কথা বলা,কবিতা আবৃত্তি শেখা,স্কুলে যাওয়া, নতুন বন্ধু তৈরি সত্যিকার অর্থে একটি শিশুর জন্য নতুন অভিজ্ঞতা যা তাকে বেড়ে উঠতে ও আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করে । অপরদিকে কিছু মানসিক চাপ আছে যা একটি শিশুর বিকাশকে বাঁধাগ্রস্ত করে। যেসকল বিষয় একটি শিশুর জীবনকে সম্পূর্ণরূপে পালটে দিতে পারে তা হলঃ -ডিভোর্সঃ পিতা-মাতা সবসময় ঝগড়া করলে বা আলাদা বসবাস করলে সন্তানের মানসিক দক্ষতা হুমকির মুখে পরে।সে নিজেকে সবসময় একাকী ও নিঃসঙ্গ মনে করে।-জায়গা পরিবর্তনঃ নতুন বাসা,সমাজ,বিদ্যালয় অথবা নতুন বন্ধুমহল একটি শিশুকে অসহায় ও নিঃসজ্ঞ করে ফেলে। যা তার মানসিক বিকাশকে বাঁধাগ্রস্ত করে ।-মৃত্যুঃ  ঘনিষ্ঠ কোন আত্মিয়,বন্ধু বা কোন পোষা প্রাণীর মৃত্যু শিশু মনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্
সন্তানের সামান্য অসুস্থতায় পিতামাতার উদ্বেগের সীমা থাকে না। জ্বর,সর্দি,মাথাব্যথা বা অন্য যেকোন ধরনের অসুস্থতা তা যত হালকা হোক না কেন পিতামাতার ঘুম হারাম হয়ে যায়।এইসব কোন উপসর্গ দেখার সাথে সাথে আপনি আপনার সন্তানকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটে যান । কিন্তু আপনার সন্তানের মানসিক কোন সমস্যা আছে কিনা সে ব্যাপারে আপনি কতটা সচেতন? আমাদের দেশে “মানসিক” শব্দটা শুনলেই সবাই দূরাবধ্য কোন রোগকে বুঝি। প্রকৃতপক্ষে মানসিক সমস্যা কমবেশি সব মানুষেরই থাকে।প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এইসকল প্রতিবন্ধকতা খুব সহজেই জয় করতে পারে। কিন্তু একটি শিশু বা কিশোর যেসকল মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হয় সেগুলো তার ভবিষ্যত চলার পথে বাধার সৃষ্টি করে।যেসকল সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ তার জানা থাকে না। অধিকাংশ পিতামাতা বুঝতেই পারে না তার সন্তানের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আবার কিছু পিতামাতা বুঝতে পারলেও এটা নিয়ে তেমন চিন্তিত হন না যতটা চিন্তিত হন সন্তানের সামান্য ভাইরাসঘটিত জ্বর-সর্দিতে। শিশুর মানসিক রোগ যেমন বিষন্নতা,উদ্বেগ,আত্মবিশ্বাসের অভাব ইত্যাদি উপসর্গ পিতামাতার চোখে খুব সহজেই ধরা পরে।বেশিরভাগ পিতামাতা তার সন্তানের এসকল বিষয় নিয়ে

সত্যবাদিতা

Image
আপনার শিশুকে সর্বদা সত্য বলতে উৎসাহিত করুন।শিশুর মধ্যে সত্যবাদিতা জাগ্রত করার সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে নিজেকে সত্যবাদী হিসেবে তাদের মাঝে উপস্থাপন করা। একটা গল্প থেকে আমরা ধারনা নিতে পারিঃ সাদিয়া তার তিন বছরের মেয়ে অথি এবং তার খেলার সাথী রুম্পার খেলার দিনগুলোকে নির্দিষ্ট করে কমিয়ে দিতে চাইল। কারন তারা নিজেদের মধ্যে প্রায়ই মারামারি করে এবং সাদিয়া ভাবল তাদের কয়েকদিন আলাদা রাখা দরকার।তাই  রুম্পার মা একদিন বিকালে একসাথে খেলার জন্য যখন অথিকে ডাকল,তখন সাদিয়া বলল অথি অসুস্থ।    একথা শুনে তার সন্তান তাকে জিজ্ঞেস করল, “মা,আমার কি হয়েছে?আমি কি অসুস্থ?সাদিয়া তার সন্তানের আতঙ্কিত মুখের দিকে তাকাল এবং বলল সে রুম্পার মায়ের মনে আঘাত দিতে চায়নি,তাই সে বলেছে অথি অসুস্থ।তারপর সে তার সন্তানকে বিভিন্ন মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য বুঝাল।এতে করে অথি সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত হল এবং ধারনা করল মিথ্যা বলা কখনও কখনও ঠিক আছে এবং মানুষ তা করে। আপনার সন্তান আপনাকে দেখেই বড় হবে তাই আপনার উচিত সকল ধরনের ছলনাকে এড়িয়ে চলা,এমনকি সেটা যত ছোটই হোক না কেন । ( এটাও বলা উচিত না যে, “তোমার বাবাকে বল না যে আমরা বিকালে আইসক্রিম খেতে যা

প্রথমের পরেও একটা শুরু থাকে

Image
আমার মধ্যে কর্মস্পৃহাটা আমি কখনই খুঁজে পাই নি। আপনার দেখা সবচেয়ে কর্মবিমুখ মানুষটার জায়গায় আমাকে বসিয়ে দিন। পারফেক্ট । অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম লেখাটা শুরু করব। ভাবা পর্যন্তই । কলম আর হাতে নেয়া হয় না । স্যারের বাসায় নিয়মিত পড়তে যাওয়াটা আমার স্কুল জীবনের সাথে সাথে সমাপ্ত হয়ে যায়। কারন তখন মায়ের কাছে ছিলাম । মা জোর করে,বুঝিয়ে, লোভ দেখিয়ে আরও কত কি করে যে পড়াতে পাঠাতেন এখন সব মনেও পড়ে না। স্কুল জীবনের পরিসমাপ্তি। মায়ের কোল ছেড়ে শহুরে মেস জীবনের শুরু।  আর নিয়মিত প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সমাপ্তি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষারও ছন্দপতন শুরু । কখন-কিভাবে যে ছন্দপতনটা হল তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না । তবে সকালবেলা কলেজের থেকে যখন ঘুমটা প্রিয় হয়ে উঠল তখন থেকেই হয়তো শুরু । এরপর একদিন সদর রোডে ঘুরতে ঘুরতে আঙ্কেল আর তার দোকানের সাথে পরিচয় । একটা প্রবাদ আছে , “হাঁসের কুড়ার নাগাল পাওয়া” । আমিও যেন কুঁড়ার নাগাল পেলাম । মফস্বল শহরে যেখানে একটা ‘ওয়েস্টার্ন ‘ পাওয়া ছিল প্রবল সাধনার বিষয় , সেখানে ওয়েস্টার্নের সমগ্র জগৎটাই আঙ্কেল সাজিয়ে রেখেছেন। মাসুদ রানা, অনুবাদ, তিন গোয়েন্দা । কি নেই তার কাছে। প্রতিটা বইয়ের ভাড়া

স্কুল ড্রেস

স্কুল   ড্রেস এই রিক্সা যাবা । রহমত মিয়া নিরাসক্ত দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকিয়ে বলল, কই যাইবেন? চৌরাস্তা। না ওদিকে যামু না। রহমত মিয়া ধীরে ধীরে রিক্সার প্যাডল দিতে থাকে।আজকে তার রোজগার ভাল। এখন হোটেলে গিয়ে চারটা ডাল-ভাত খেতে হবে।আজকে মুরগি দিয়া খাওয়া যায়। চিন্তাটা মাথায় আসলেও সাথে সাথে গাঁয়ে থাকা ছোট্ট মেয়েটার কথা ভেবে  সে কিছুটা  আনমনে হয়ে রিক্সা চালাতে থাকে।মেয়েটা এ বছর স্কুলে ভর্তি হয়েছে। একটা নতুন স্কুল ড্রেসের জন্য আজকেও মোবাইলে কান্না-কাটি করছে। এখন আয়রোজগার যখন একটু ভাল হচ্ছে তা দিয়া বাজে খরচ না করে কিছু টাকা জমিয়ে মেয়েটাকে একটা ড্রেস কিনে দিলে খুশি হবে।ছেলেটাকে তো কিছুই দিতে পারে নাই।আর দিবেই বা কোথা দিয়ে।গাঁয়ে বদলা দিয়ে যা আয় হত তা দিয়া তিনবেলা খাওয়াই  জুটত না।বউটা ঠিকা কাজ করে সংসারটা কোনরকম দুইজনে চালিয়েছে।মেয়েটা হওয়ার পর ছোটশালার কথামত শহরে এসে রিক্সা চালিয়ে বাড়ি টিনের ঘর উঠছে,পোলারে মেট্রিক পাস দেওয়াইছে।হানিফ মাস্টার  বলছে পোলায় নাকি খুবই ভাল পাস দিছে। রহমতকে দেখে কালু মিয়া বলে উঠল, কি মিয়া আইজ তাড়াতাড়ি আইলা যে। খ্যাপ নাই, মানু এহন ব্যাটারির গাড়ি খোজে, আমা

অনাঘ্রা্তা

প্রত্যেকরাতে কোথা থেকে যেন প্রেশারকুকারে রান্নার শব্দ আসে। তনু পড়ার টেবিল ছেড়ে বারান্দায় এসে শোনার চেষ্টা করছে কোন বাসা থেকে প্রতিদিন এই শব্দটা আসছে। সে কয়েকদিন ধরেই এই রহস্যটা সমাধান করার চেষ্টা করছে। প্রতিরাতে কেউ তিন-চারবার প্রেসারকুকারে রান্না করবে সেটা ভাবতেই অবাক লাগে।শব্দটা কোথা থেকে আসছে,দোতলার ব্যালকনি থেকে বোঝা যাচ্ছে না । সামনে এইচ.এস.সি পরীক্ষা।এখন উচিত সময় নষ্ট না করে পড়ার টেবিলে বসা।যদিও সব পড়া।তবু পরীক্ষার আগে পড়ার টেবিল রেখে এইরকম ফালতু বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে নিজের উপরই বিরক্ত লাগছে। মা এসে বারান্দায় দেখলেই চোখমুখ অন্ধকার করে বলবে, দু’দিন পর তোর পরীক্ষা, আর তুই এখন বারান্দায় বসে বাতাস খাচ্ছিস। জীবনে যদি তোর  কান্ডজ্ঞান  হত। যদিও তনুর মনে হয় ওর  কান্ডজ্ঞান  খুব ভালই আছে । সে বোর্ড স্ট্যান্ড করা ছাত্রী । এস.এস.সি তে সারা বাংলাদেশে ফিফথ হয়েছে। তার চোখের চশমার পাওয়ার দিন দিন বাড়াতে হচ্ছে। পড়ার টেবিলে বসার সাথে সাথে ও বাবার গলার আওয়াজ পেল। তনু মা, কি করছ? বলতে বলতে আহাদুল করিম রুমে ঢুকলেন । মুচকি হেসে তনু মুখ তুলে চাইলেন। আহাদুল করিম একটা ধাক্কার মত খেলেন। তনু যতবার মুচ

বিষণ্ণতা

Image
বাসায় অথিতির আগমন। কিন্তু ছোট্ট সেই শিশুটির মন ভাল নেই। কারন কালকের হোমওয়ার্ক শেষ করতে হবে।তাই বিষণ্ণ মনে সে তার ভাল না লাগা কাজটি করে যায়। সেই থেকে শুরু।   তারপর থেকে জীবনের প্রত্তেকটা পদে তাকে বিষণ্ণতা নামক রোগটির সাথে লড়াই করে যেতে হয়। প্রত্যেকটা রোগের চিকিৎসা আছে,কিন্তু  বিষণ্ণতা নামক ব্যধির কোন চিকিৎসা নেই । কারন আমরা বুঝতে ই পারি না আমাদের মনে এত বড় একটা রোগ কখন বাসা বেধেছে। রোগ হয়েছে তাই যদি বুঝতে না পারি তো ওষুধ খাব কি! যদিও বা কেউ বুঝতে পারে সেটাকে মনের দুর্বলতা বলে ভেবে নেয়।   এ এমন এক দুর্বলতা যাকে প্রশ্রয় দেয়া যায় না,তাহলে সর্বনাশ! বাস্তব জীবনে এসকল দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দিতে নেই । বিরক্তিতে, রাগে,ক্ষোভে,দুঃখে, অমনোযোগিতায়  প্রতিটা আচরণে সে কিন্তু তার উপস্থিতি জানান দিয়ে যায়। শরীর সুস্থ রাখতে আমরা কত কিছুই না করি,কিন্তু যে ঘাতক ব্যধি আমাদের ধীরে ধীরে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে ফেলছে তার খোঁজ রাখার সময় কোথায়। যান্ত্রিক এ যুগে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এসব ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে না ভাবাই উত্তম। কিন্তু সময়ে-অসময়ে “ভাল্লাগে না” নামক জিনিসটা যখন কর্মস্পৃহা থামিয়ে দেয়,তখন বলি ঘট