সমাজে চলতে গেলে অনেকসময় অনেক কিছু এড়িয়ে যেতে হয়। কিছু কারন সমাজের গোঁড়ামি আর কিছু কারন ব্যক্তিগত। প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা হার হামেশাই ঘটে। ধরুন দু'জন দেখা করার প্রোগ্রাম করলো। কিন্তু হয়তো বহুবছর পর বাল্যবন্ধুদের সাথে ব্যচেলর পার্টি পরে গেলো কিংবা বাসায় হয়তো মেহমান আসলো। তখন এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া হয়তো আর উপায় থাকে না। প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা কখনও বুঝতে চায় না তার সাথে দেখা করার থেকে প্রিয়জনের এসব কাজ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তখন ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়ার প্রয়োজনে হয়তো এমন কোন অজুহাত দাড় করাতে হয় যার গুরুত্ব ভালোবাসার মানুষটার সাথে দেখা করার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিনয় আমাদের করতে হয়। এরকম হাজারো ঘটনার অবতারণা করা যাবে। যেসব ক্ষেত্রে আমরা এড়িয়ে যেতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। একটুখানি অভিনয় করে যদি অস্বস্তিকর পরিবেশ এড়িয়ে যাওয়া যায় তাহলে সেটাই ভালো। এই এড়িয়ে যাওয়াটাকে আমার ভন্ডামি মনে হয়। খুব সূক্ষ্ম ধরনের ভন্ডামি। যার আদৌ কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরা এই ভন্ডামিকে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই নেই। হয়তো পারতপক্ষে এর কোন প্রভাব আমাদের জীবনে পরে না। কিন্তু এইসব সূক্ষ্ম বিষয়গুলোর প্রভাব অবশ্যই রয়েছে। আমাদের চরিত্র গঠনে এর বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। আমাদের জীবনযাত্রায় যখনই কোন অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয় আমরা সেটাকে এড়িয়ে যেতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে বড় ধরনের ভন্ডামির আশ্রয় নেই। কেননা অবচেতন এর সাথে আগেই পরিচিত। অস্বস্তির চেয়ে সে এই অভিনয়টাকেই শ্রেয় মনে করে।
করোনা নিয়ে শিশুদের সাথে আলোচনা
করোনা নামক মহামারীতে আজ পুরো পৃথিবী স্তব্ধ। বন্দীজীবনে আমরা সবাই কিছু না কিছু মানসিক জটিলতায় ভুগছি। তবে সবথেকে বেশি সমস্যায় রয়েছে শিশুরা। তারা উচ্ছ্বল, খোলামেলা জীবনকে ছুটি দিয়ে ঘরবন্দী জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে । এই সময়টাতে বৈশ্বিক এই মহামারী নিয়ে আপনার সন্তানের সাথে খোলা মনে আলোচনা করুন। প্রথমত, আপনার সন্তানের সাথে মহামারী নিয়ে আলোচনা শুরু করুন। জানার চেষ্টা করুন সে কতটা জানতে পেরেছে। এই বিষয়ে তারা কি কি সতর্কতা অবলম্বন করছে সেটাও জানার চেষ্টা করুন। আপনাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন তারা সহজে এ বিষয়ে আপনাকে প্রশ্ন করতে পারে। সর্বপরি এই মহামারির সময় আপনার সন্তানের সাথে বন্ধুর মত সম্পর্ক গড়ে তুলুন। একসাথে ছবি আকা,গল্পের বই পড়া অথবা খেলার মাধ্যমে তার সাথে খোলামনে কথা বলা শুরু করতে পারেন। খুব ছোট হলে এ বিষয়ে আলোচনা না করাটাই উত্তম। তাদেরকে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতার সাধারন বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলতে উৎসাহিত করুন। পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া। বিশ্বের সকলের ন্যায় শিশুদেরও অধিকার রয়েছে মহামারী সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাবার। আপনি কোন প্রশ্নের উত্তর না জানলে এড়িয়ে য
Comments
Post a Comment