ফেসবুকে একটা ছবি দিলে দুই-আড়াইশো লাইক পরে। কিন্তু একটা লেখা দিলে সর্বোচ্চ বিশ-ত্রিশটা লাইক হয়তো পরে। একটা ছবি দিতে আমার মস্তিষ্কের উপরে কোন চাপ পরে না। একটা লেখা লিখতে মস্তিষ্কে অনেক চাপ পরে। কতবার ভাবতে হয়। লেখাটা বহুবার কাটাছিড়া করতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ বাঙালী বিনোদন খোঁজে। তাই লেখা পড়ার ধৈর্য্য তাদের কম। তারা ছবিতে লাইক-কমান্ড দিতেই বেশি মজা পায়। লেখা পড়তে গেলে মস্তিষ্কের যেটুকু গঠন হওয়া দরকার অধিকাংশ বাঙালির সেটা হয় নি। আগে তবু মানুষ সময় কাটানোর জন্য হলেও দু'একখানা বই পড়তো। আর এখনতো সময় কাটানোর মাধ্যমের অভাব নেই। এমন একটা প্রজন্ম আমরা তৈরি করছি যারা প্রচন্ড বই বিমুখ। একটা বই বিমুখ জাতির ভবিষ্যৎ ভাবতেই ভয় হয়। আমাদের যতই অর্থনৈতিক উন্নতি হোক,জাতি হিসেবে বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে না পারলে আমাদের কখনই মানসিক উন্নতি সম্ভব নয়। আর মানসিক উন্নতি ব্যতীত একটা জাতির ভবিষ্যৎ কি হতে পারে সেটা কল্পনা করতেও আতংকিত হয়ে পরি।
করোনা নিয়ে শিশুদের সাথে আলোচনা
করোনা নামক মহামারীতে আজ পুরো পৃথিবী স্তব্ধ। বন্দীজীবনে আমরা সবাই কিছু না কিছু মানসিক জটিলতায় ভুগছি। তবে সবথেকে বেশি সমস্যায় রয়েছে শিশুরা। তারা উচ্ছ্বল, খোলামেলা জীবনকে ছুটি দিয়ে ঘরবন্দী জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে । এই সময়টাতে বৈশ্বিক এই মহামারী নিয়ে আপনার সন্তানের সাথে খোলা মনে আলোচনা করুন। প্রথমত, আপনার সন্তানের সাথে মহামারী নিয়ে আলোচনা শুরু করুন। জানার চেষ্টা করুন সে কতটা জানতে পেরেছে। এই বিষয়ে তারা কি কি সতর্কতা অবলম্বন করছে সেটাও জানার চেষ্টা করুন। আপনাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন তারা সহজে এ বিষয়ে আপনাকে প্রশ্ন করতে পারে। সর্বপরি এই মহামারির সময় আপনার সন্তানের সাথে বন্ধুর মত সম্পর্ক গড়ে তুলুন। একসাথে ছবি আকা,গল্পের বই পড়া অথবা খেলার মাধ্যমে তার সাথে খোলামনে কথা বলা শুরু করতে পারেন। খুব ছোট হলে এ বিষয়ে আলোচনা না করাটাই উত্তম। তাদেরকে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতার সাধারন বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলতে উৎসাহিত করুন। পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া। বিশ্বের সকলের ন্যায় শিশুদেরও অধিকার রয়েছে মহামারী সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাবার। আপনি কোন প্রশ্নের উত্তর না জানলে এড়িয়ে য
Comments
Post a Comment