Posts

বাতাসে বারুদের গন্ধ

বাতাসে বারুদের গন্ধ। পৃথিবী গন্ধমুক্ত হোক। এইতো সেদিন পৃথিবীর একপ্রান্তে বারুদের গন্ধে মুছে গিয়েছিল কয়েকশো তাজা প্রাণ। অধিকার আদায়ের দাবিতে নিভে গিয়েছিল কয়েকশো মায়ের কলিজার ধন। আজকে এইপ্রান্তে দেখি পিতৃহারা এক নির্বাক শিশুর চোখের জলের বান। এমনসব মৃত্যু আর দেখতে মন চায় না। পৃথিবী ছেড়ে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও গিয়ে একাকী আশ্রয় নিতে পারলে ভালো হতো। চুপচাপ "মাতাল হাওয়া" পড়তাম। নাদিয়ার মৃত্যুতে চোখের জল ফেলতাম। আবার কাল্পনিক কোন রূপার প্রেমের মধুর সমাপ্তি দেখে হেসে উঠতাম। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। মানুষ নামক নিষ্ঠুরতার সাথেই আমার বসবাস। তাইতো এসব মৃত্যু দেখা ছাড়া আর কোনো অবকাশ নেই।

কাতার বিশ্বকাপ ২০২২, সমকামিতা এবং আমার মৃত ভাই

  কাতার বিশ্বকাপের আনন্দে সবাই বুদ হয়ে আছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই খেলার মাঠে মদ খাওয়াসহ কাতারের অনেক বিধিনিষেধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেসব নিয়ম ফিফা মেনে নেয়ায় এদেশের অনেকে আনন্দিত হয়েছে। খেলার মধ্যে ধর্ম টেনে আনাটা আমার জন্য অস্বস্তিকর একটি কাজ। মানসিক শান্তি নষ্ট হয়। কিন্তু আহমদ ছফার বাঙালি মুসলমানদের কোনোকিছুই ধর্ম ছাড়া চলে না। আমার জানামতে খেলাকে ঘিরে যত ঘটনা ঘটে যেমন-সরাসরি সম্প্রচার,বিজ্ঞাপন, খেলোয়াড়দের পোশাক বেশিরভাগই ধর্ম সমর্থন করে না। সেটা অনেক বড় বিতর্ক। বিশ্বকাপে কয়েকটা দলের অধিনায়ক সমকামীদের সমর্থনে আয়োজকদের নিষেধ সত্ত্বেও ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামতে চেয়েছিল । কিন্তু সেই সিন্ধান্ত থেকে তারা সরে এসেছে। কারণ কেউ আর্মব্যান্ড পরে নামলে তাকে হলুদ কার্ড দেখানোর ঘোষণা দিয়েছে ফিফা। আমাদের সমাজে ঘটা অনেকগুলো বিতর্কিত বিষয়ের মধ্যে সমকামিতা একটি। আর এর কারনেই দেড় বছর আগে আমার ভাই খুন হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের থেকে একটা রিপোর্ট আদালতে যায় নি। তাই আমি অপেক্ষা করছি। আর সমকামিতা বিষয়টা জানার চেষ্টা করছি। মোটামুটি বুঝতে পারার পরথেকেই আমি সমকামীতাকে ঘৃনার চোখে দেখতাম। আমাকে বোঝার প

এসএসসির রেজাল্ট

এসএসসির রেজাল্ট দিয়েছে। সোস্যালের গোয়ালে যথারীতি বেশিরভাগই হাস্যরস আর আনন্দের প্রকাশ দেখতে পাচ্ছি । ত্রয়োদশীয় বালিকা থেকে শুরু করে আমার বয়সী বুড়োরা- কেউই মোটামুটি ছাড় দিচ্ছে না। কিন্তু আনন্দ বাদ দিয়ে যদি আমার মতো বুড়োর কাছেও এরা কেউ পরামর্শ চাইতে আসে তখন অন্তরাত্মা শুকিয়ে যাবে। কারন কি পরামর্শ দেবো এই প্রজন্মকে। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। মানে আগাগোড়া সাইন্স। ছোটবেলায় বিজ্ঞান বইতে পড়েছি পৃথিবী গোল। কিন্ত বলা হলো চিরন্তন সত্য হলো পৃথিবী সমতল। আবার একটু বড় হয়ে পড়লাম মানুষ অর্থাৎ হোমো সেপিয়েন্স প্রজাতি এসেছে আফ্রিকার নিয়ান্ডারথাল থেকে বিবর্তিত হয়ে। তখন সেটা মানতে পারিনি। তাই এখনও মানতে কষ্ট হয় যে মোবাইল,কম্পিউটার, ইন্টারনেট এগুলো বিজ্ঞান দিয়েছে। আবার চিকিৎসা,শিক্ষা,যোগাযোগ সবক্ষেত্রেই বিজ্ঞান অনেককিছু দিয়েছে; জানি। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা মানি না। তাইতো বলি এই ছাইন্স না বুঝাইলেও পারতেন মিয়ারা। সাইন্স নিতে বললে ওদেরকেও এই ছাইন্সই বুঝানো হবে নিশ্চিত। মানবিক আর ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রেও মোটামুটি সেইম। আটবছর ডেবিট-ক্রেটিডের হিসেব মেলানোর পর তাকে বলা হবে জীবনের হিসেব ডাটায় মিলবে না, সে হিসাব আগে

আবেগ এবং যুক্তি

Image
  আমার মস্তিষ্কের আবেগ এবং যুক্তি আমি অনেকের মাঝেই ঢেলে দেই। ব্যক্তিগত কিংবা সামজিকভাবে।আবেগ এখানেই বেশি ঢালি আমার ভাবনাগুলো আ্যবস্যুলেট কিংবা চিরসত্য টাইপ কিছু নয়। আমার এখনকার ভাবনাগুলো দুদিন পর অন্যরকম হওয়া স্বাভাবিক। কেননা আমি কিছুই বিশ্বাস করি না। এমনকি নিজের কোনো ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারলেই আমি সর্বোচ্চ অর্গাজম পাই কেননা আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। তখনই আমার চিন্তাটা প্রশ্নবিদ্ব হয় যখন সেটা সম্পর্কে আমি নতুন কিছু জানি। আর এই জানাটাই আমাকে আনন্দ দেয়। যদিও নতুন কিছু জানার সুযোগ আমার খুবই সীমিত। আমার মাঝে আবেগ এবং যুক্তি একইসাথে চলে। যুক্তিকে আমি বিজ্ঞান দিয়ে ছাঁকন করি আর আবেগকে ইচ্ছেমত চলতে দেই। যুক্তি যখন আবেগকে পিস্ট করে তখন অস্থির হয়ে পরি। আবার আবেগ যখন যুক্তিকে ঢেকে দেয় তখন অসহায় হয়ে পরি। আমার মস্তিষ্কের মাঝে চলা এইসব দ্বন্দ্ব আমায় একসময় বিস্মিত করে ফেলতো। চেতন-অবচেতনের লড়াই দেখে অবাক বিস্ময়ে থম মেরে যেতাম। এখন আমি আর এসব নিয়ে ততটা বিস্মিত হই না। আমি কিছুটা হলেও বুঝতে শিখেছি এর বেশিরভাগই কিছু নিউরোকেমিক্যাল সিগনালের খেলা, কিছু হরমোনের ক্রিয়াকলাপ আর আমার ডিএনএ-র মধ্যে বহন করা কি

"জানা ভালো কিন্তু বেশি জানা ভালো নয়।"

Image
"জানা ভালো কিন্তু বেশি জানা ভালো নয়।" এই উপদেশটা আমি জীবনে বহুবার শুনেছি। আমি তাদেরকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি আমি কিছুই জানি না। স্রেফ জানি না। বেশি জানার প্রশ্ন সেতো অনেকদূর। তবে আমি অনেক বেশি জানতে চাই। যতদিন বেঁচে আছি জানতে চাই। এই যেমন গতকাল নাসা সত্তর বছর পরে চাঁদের উদ্দেশ্যে মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপন সফল করেছে। অনেকগুলো ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর একটি সফল অভিযান। বলা হচ্ছে আগামীতে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর পরীক্ষামূলক অভিযান এই মিশন। এইবার মানুষ পাঠানো হয়নি,আগামী অভিযানে মানুষ যাবে চাঁদে। এরকম কয়েকটা পরীক্ষামূলক মিশন শেষ করে মানুষ মঙ্গলে যাবে। কি অবিশ্বাস্য আমার মহাকাশ, স্পেস সাইন্স নিয়ে জ্ঞান খুবই সীমিত। আমি আরও জানতে চাই। এরকম অনেককিছুই আছে যা আমি এখন জানতে চাই, কিন্তু একটা সময় চাইতাম না। আমাকে কেউ ছোটবেলায় প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করেনি। আমি নিজে থেকে জানার চেষ্টা করেছি অনেককিছু। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সবজায়গায় মেনে নেয়ার শিক্ষা দেয়। প্রশ্ন করার শিক্ষা দেয় ই না, উপরন্তু প্রশ্ন করাকে নিরুৎসাহিত করা হয়। আমাদের এতো গভীরে এই নিরুৎসাহিতভাব ঢুকে গেছে সেটা ক্যান্সারে

তোমাকে অনুভব করছি

তোমাকে অনুভব করছি। ভীষণরকমভাবে তোমার উপস্থিতি- মস্তিষ্কে,গ্রীবায়,হৃদপিণ্ডে,অন্ডকোষে। অস্থিরতায় শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে হয়। তোমার স্বপ্নগুলোকে,তোমার আবেগকে,তোমার ছেলেমানুষীকে। অবচেতন হতোদ্যম হয়। নিজেকে খুঁজতে গিয়ে তোমার উপর থেকে নামতে উদ্যত হয়। পালাতে চায়,মুখ লুকায়। মস্তিষ্কের কোষগুলো ছটফট করে মরে যায়। নিউরনের বিপরীতক্রিয়ায় নিজেকেই নিজের কাছে অসহ্য মনে হয়। তাইতো পৃথিবীর প্রেমিকারা পাগল কয়। ভীরু কয়। গা-বাঁচানো প্রেমিক কয়। মরা মানুষ কয়। এভাবেই বেঁচে আছি । মৃত কোষগুলোতে সঞ্জীবনী শক্তি পাওয়ার অপেক্ষায়। জীবন্ত উচ্ছ্বাসে কেউ জাগিয়ে তুলুক আমায়। শুধুমাত্র সেই অপেক্ষায়। একটুখানি জীবন্ত অনুভূতি পাওয়ার আশায়।
Image
  সাফায়েত সানি July 26, 2016    ·  Shared with Public নিম্নবিত্তরা উদ্ধায়ী,হূট করে ধনী হইয়া যাইতে পারে।ধনীরা কঠিন মৌল তাপে তরল হইয়া যায় আর মধ্যবিত্তরা নিস্ক্রিয় মৌল......কিছুই হইতে পারে না.........